বাংলার খবর
ব্রহ্ম নয় কালী পুজোর পাঠ পড়ুয়াদের, বিতর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কালী নিয়ে ফের বিতর্কের সূত্রপাত! সৌজন্যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রহ্ম উপাসনার পীঠস্থান বিশ্বভারতীতে ‘কালী পুজোর ধারনা’ সংক্রান্ত আলোচনা সভার আয়োজন ঘিরে বিতর্ক।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনার জন্য শান্তিনিকেতন আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই রীতি ধরে রেখে সেখানে গুরুদেব বিশ্বভারতী স্থাপন করেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কলকাতার আলমবাজার মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সারধাত্মানন্দ জি মহারাজের মা কালী পুজো প্রসঙ্গে আলোচনা সভার আয়োজন করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আর এতেই বিতর্ক তুঙ্গে।
আগামী ২৫ জুলাই বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কনফারেন্স হলে “কালী পুজোর ধারনা” সংক্রান্ত বিষয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে বক্তব্য রাখবেন কলকাতার আলমবাজার মঠের শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক সারদাত্মানন্দ জি মহারাজ। উপস্থিত থাকবেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: দুধ জ্বাল দিলেই রাবারের মতো দলা পাকিয়ে যাচ্ছে, জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনার জন্য শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে সেই ধারা বজায় রেখে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠ করেন। আজও প্রতি বুধবার সহ বিশেষ দিয়ে শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহে ব্রহ্ম উপাসনা হয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে কালী পুজোর রীতি নিয়ে আলোচনা সভা ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।
এমনকি, কর্তৃপক্ষ ব্যতিত সকলের মতে পড়াশোনার বাইরে কেন এই আলোচনা সভা হবে? বিশ্বভারতীর মত একটি প্রতিষ্ঠানে। এই আলোচনা যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী, সেটা নিয়ে বিতর্ক। কর্তৃপক্ষের তরফে আলোচনা সভার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্যোসাল নেটওয়ার্ক সাইটে ক্ষোভ উগ্রে দিলেন আশ্রমিক,পড়ুয়া থেকে রবীন্দ্র অনুরাগী মানুষজন।
আরও পড়ুন: রাখে হরি মারে কে! আগুনের হাত থেকে বাঁচতে তিনতলা থেকে ঝাঁপ রাঁধুনির, লুফে নিলেন সহকর্মীরা
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিশ্বভারতীতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আয়োজিত একাধিক সেমিনার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷ যা নিয়ে আন্দোলনের নেমেছিল পড়ুয়ারা৷ এর আগে সদ্য, কালী পুজো সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক হয়৷ তারপরেই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর এই আলোচনা সভা যে রাজনৈতিক পরিপন্থী, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা বলেই মত আশ্রমিক, পড়ুয়াদের৷