বাংলার খবর
মোদিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের! কাঁধে জোড়াফুলের পতাকা, বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে গুজরাতেও ঢুকব

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কলকাতা পুরভোটের শেষ লগ্নের প্রচার বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতায় রোড শো করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘খেলা হবে’ গানের তালেই হল এদিনের রোড শো। এই রোড শো যত এগলো ততই জন জোয়ারে পরিণত হল। বিকেল ৪টে১৫ নাগাদ রোড শো শুরু করেন অভিষেক।
বড়বাজারের রাজাকাটরা এলাকা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় বউবাজারের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সামনে। এদিন অভিষেকের গাড়িতে ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক ও প্রার্থী অতীন ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধায়ক তাপস রায়রা। মিছিলে ছিলেন উত্তর কলকাতার চার পুর প্রার্থীও।রাস্তার দু’পাশে সাধারণের ঢল দেখা যায় এদিন। আশপাশের বহুতল গুলি থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির উপর পুষ্পবৃষ্টিও করা হয়। বৌবাজারে মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘তৃণমূল এখন শুধু আর বাংলার রাজনৈতিক দল নয়। সর্বভারতীয় দল। তৃণমূল ত্রিপুরাতে ঢুকেছে, গোয়াতে ঢুকেছে, মেঘালয়তে ঢুকেছে। ফেব্রুয়ারিতে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন।
এখানে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষী রেখে বলে যাচ্ছি, গোয়া নির্বাচনে হয় তৃণমূল কংগ্রসে জিতবে নইলে প্রধান প্রতিপক্ষ হবে। ত্রিপুরাতে ৩ মাসের মধ্যে আমরা পা রেখে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি। ভারতের কোনও রাজনৈতিক দল এই নজির তৈরি করতে পারেনি। তৃণমূল আর যাই হোক মেরুদণ্ড বিক্রি করবে না। বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ না করে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত তৃণমূল লড়বে।’ এদিন নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও তীব্র আক্রমণ করেছেন অভিষেক। তিনি বলেছেন, ‘আপনি গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করেছেন। যে রাজ্যে ঢুকব, আপনাকে উৎখাত করে ছাড়ব। আপনি যেভাবে মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন, আপনার রাজ্যেও ঢুকব।
কাঁধে থাকবে জোড়াফুলের পতাকা বুকে থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। কলকাতার দিকে সারা দেশ তাকিয়ে আছে। ভোটের আগে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে এসে অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন। তাঁর মন্ত্রকের পরিসংখ্যানই বলছে সারাদেশের মধ্যে নারী সুরক্ষায় সবার প্রথমে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।’ এদিন রোড শোর শেষে আবারও দলীয় প্রার্থী এবং নেতাকর্মীদের সংযত ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও দুর্নীতি বা দাদাগিরিকে দল যে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেবে না, তা তিনি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই তৃণমূলকে ‘নতুন তৃণমূল’ আখ্যা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘তৃণমূল করে খাওয়ার জায়গা নয়, তৃণমূল লড়াই করার জায়গা।
যদি কেউ ভাবে আগে যা করে এসেছে, এখনও তাই করবে, তাহলে তাদের জানতে হবে যে এই তৃণমূল নতুন তৃণমূল। আর এই তৃণমূলের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। দলের নাম করে যদি কেউ আপনাদের চমকায় ধমকায়, তাহলে তাকে আগে বাইরের রাস্তাটা দেখানো হবে, তারপর যা হবে দেখা যাবে। দলের কর্মীরা মানুষের সেবা করবে। কিন্তু কেউ যদি ধান্দা করতে তৃণমূলে আসে, তাহলে তাকে বাইরে রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হবে। তৃণমূলের দরজাটা চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।’