বাংলার খবর
একসঙ্গে গৃহবধূ ও যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ এক গৃহবধূ ও যুবকের আত্মঘাতীর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের মাড়াইকুড়া গ্রামে। শুক্রবার সকালে মাড়াইকুড়া গ্রামের একটি পাট খেতের পাশে থাকা একটি গাছের ডালে একই দড়িতে ওই মহিলা ও এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীরাই খবর দেন রায়গঞ্জ থানায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম কাজলী দেবশর্মা (৪৫) এবং মৃত যুবকের নাম বিজয় দেবশর্মা (২৫)। রায়গঞ্জ ব্লকের দক্ষিণ গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা গৃহবধূ কাজলী দেবশর্মার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত প্রসম্পর্ক গড়ে ওঠে এলাকারই যুবক বিজয় দেবশর্মার। শুক্রবার সকালে এই দু’জনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে। আত্মহত্যা নাকি খুন, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় মাড়াইকুড়া গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় দেব বর্মন জানিয়েছেন, ‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে ঠিকই। তবে এটা আত্মহত্যার ঘটনা নাও হতে পারে। কারণ একই দড়িতে দু’জনের দেহ ঝুলছিল। তবে ওই যুবকের দেহ হাঁটু মোড়া অবস্থায় মাটিতে ঠেকে ছিল।’
ফেসবুকে খবর দেখে মৃতের পরিবারের লোকজন ও দক্ষিণ গোয়ালপাড়ার গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য আজিবুল রহমান দু’জনের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। খবর পেয়েই তাঁরা ছুটে যান রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে। আজিবুলও এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে এই মৃত্যুর খবর জানতে পারি। তারপরই হাসপাতাল মর্গে ছুটে এসেছি। দু’জনেই আমার এলাকার বাসিন্দা। কাজলী একটি হোটেলে কাজ করতো। তার তিন সন্তান রয়েছে। দুই ছেলে এবং এক মেয়ে। আর বিজয় সামান্য লেবারের কাজ করতো। কাজলীর স্বামীও সামান্য রাজমিস্ত্রির লেবারের কাজ করতো। কাজলীর সঙ্গে বিজয়ের এই অবৈধ সম্পর্কটা গত দুবছর ধরেই ছিল বলে আমরা জানতাম। আমরা দুজনকে বুঝিয়েও ছিলাম। সব ঠিকঠাকই হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওদের দু’জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর শুক্রবার ফেসবুকে জোড়া মৃত্যুর কথা শুনেই আমরা হাসপাতালে ছুটে এসেছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে এটা আত্মহত্যা কিনা, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ওদের দু’জনকে খুন করে গাছে ঝুলিয়েও দেওয়া হতে পারে।’