বাংলার খবর
লাল গোলাপের মালা পরিয়ে অর্জুনকে বুকে টেনে নিলেন মদন মিত্র
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: তৃণমূলে থাকাকালীন মদন মিত্রের সঙ্গে অর্জুন সিঙের বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত ছিল। অর্জুন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব অটুট ছিল দু’জনের মধ্যে। গত রবিবার অর্জুন সিং বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতেই পুরনো বন্ধুর সঙ্গে মিত্রতাটা আরও একবার ঝালিয়ে নিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেই বৈঠকেই লাল গোলাপ দিয়ে পুরনো বন্ধু অর্জুনকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বরন করে নিলেন মদন মিত্র। সোমবার টিটাগড়ের দলীয় কার্যালয়ে এই বৈঠকে অর্জুন, মদন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ব্রাত্য বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারী, প্রাক্তন বিধায়ক তথা মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়। সেই বৈঠকে কমলা রঙের টি-শার্ট ও কাল ট্রাউজার্স পরে স্বমহিমায় হাজির হয়েছিলেন মদন মিত্রও। তিনি ঢুকতেই তাঁকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে আসেন অর্জুন। তারপরই সৌজন্য বিনিময় করে অর্জুনকে বুকে জড়িয়ে ধরেন মদন মিত্র। এবং অনুগামীদের কাছ থেকে লাল গোলাপের মালা নিয়ে অর্জুনের গলায় পরিয়ে দেন তিনি। সৌজন্যে দেখিয়ে মদনকে পাল্টা নমস্কারও করেন অর্জুন।
ভাটপাড়ার বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে ২০১৯ সালে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হন অর্জুন সিং। ভাটপাড়ায় বিজেপির প্রার্থী হিসেবে বিধানসভা উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে ছিলেন অর্জুনপুত্র তথা বর্তমান বিধায়ক পবন সিং। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মদন মিত্র। প্রায় ২১ হাজার ভোটে পবনের কাছে হেরে যান মদন মিত্র। তারপরই অর্জুন ও মদনের বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ভোটে হেরে মদন মিত্র প্রকাশ্যে অর্জনের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘ভাই অর্জুন তুমি জিতে গিয়েছ। ভোটে জেতার জন্য অশান্তি, বুথ দখল, রিগিং, আমাদের কর্মীদের মারধর, যা যা করার ছিল সব করেছ। এবার শান্তি ফিরিয়ে আনো। আর অশান্তি করে রক্ত ঝড়িও না।’ প্রায় তিন বছর পর গত রবিবার অর্জুন সিং আবারও তৃণমূলে ফেরায়, সঙ্গে সঙ্গেই পুরনো শত্রুতায় ইতি টানেন মদন মিত্র। আর এদিন লাল গোলাপের মালা দিয়ে বরণ করে অর্জুনকে বুকে টেনে নিয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্কের বৃত্তটা যেন সম্পূর্ণ করলেন কামারহাটির সদা বর্ণময় বিধায়ক মদন মিত্র। এদিনের এই ঘটনার সাক্ষী রইল তৃণমূলের সমস্ত জেলা নেতৃত্ব।