রাজনীতি
শান্তিপুরে জয় নিয়ে নিশ্চিত তৃণমূল-বিজেপি, হারানো আসন পুনরুদ্ধারে আশাবাদী বামেরাও

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নদীয়ার শান্তিপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যখন বিজেপি তাদের জয় ধরে রাখতে প্রার্থী করেছে নিরঞ্জন বিশ্বাসকে, তখন তৃণমূলের বাজি এবার নতুন মুখ ব্রজকিশোর গোস্বামী। অন্যদিকে, শান্তিপুরে সিপিএম এবার প্রার্থী করেছে দলের পোড় খাওয়া নেতা সৌমেন মাহাতোকে। গত দুই বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তৃণমূলকে।
২০১৬ সালে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের কাছে ও ২০২১ সালে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছিল তৃণমূলকে। মূলত সেই কারণেই এবার গত দু’বারের হারকে জয়ে রূপান্তর করতে সচ্ছ ভাবমূর্তির নতুন মুখ ব্রজকিশোর গোস্বামীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রজকিশোর গোস্বামীর নাম ঘোষণা করার পর স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছসিত শান্তিপুর তৃণমূল। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেছেন, ‘আমি রাজনীতিতে নবাগত নই। ২০১৬ সাল থেকে দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত ছিলাম। আমাদের দলে সমস্ত কর্মীর সমান গুরুত্ব রয়েছে।
নেত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। এবং এই কেন্দ্রটি মুখ্যমন্ত্রীকে আমি উপহার দিতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন ও স্বপ্নকে দেখেই মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে।’ অন্যদিকে, শান্তিপুরের পুরোনো রাজনৈতিক কর্মী সোমেন মাহাতোকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। ২০১৬ সালে সিপিএমের সাথে জোট করেই নির্বাচন জিতেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য্য। পরে অবশ্য তিনি দল বদল করে প্রথমে তৃণমূলে ও পরে বিজেপিতে যোগদান করেন। আর সেই কারণেই এবার আবার মানুষের সমর্থন পেয়ে এই আসনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী সোমেন মাহাতো সহ শান্তিপুর সিপিএম।
বাম প্রার্থী বলেছেন, ‘খেলা হবার নামে তৃণমূল যদি এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করে মানুষের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার না করে এবং মানুষ যদি নির্ভয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তবে এই আসনে বামেরাই জিতবে।’ অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ১৫ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী তথা রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার। কিন্তু পরে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন।
সেই কারণেই এই কেন্দ্রে নিজেদের জয় ধরে রাখতে বিজেপি প্রার্থী করেছে নিরঞ্জন বিশ্বাসকে। নিরঞ্জন বাবুর আশা, মানুষ আবার তাঁদের ওপরই ভরসা করবেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে বিজেপির লড়াইটা এবার বেশ কঠিন। কারণ উপনির্বাচনে সাধারণত শাসকদলের দিকেই পাল্লা ভারী থাকে। তার ওপর ভোটে জিতেও বিজেপি বিধায়কের পদত্যাগ করাটা ভালোভাবে নিচ্ছে না শান্তিপুরের মানুষ। তাই লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।