দেশের খবর
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চুঁচুড়ায় তৃণমূলের বিক্ষোভ, নাটক বলে কটাক্ষ বিজেপির
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পেট্রোল সেঞ্চুরি পার করেছে। ডিজেল’ও সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। যেভাবে পেট্রোল-ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা। তাই আজ হুগলির চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ে পেট্রোল পাম্পে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রতিবাদ দেখাল তৃণমূল। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল সংঘটিত হয় খাদিনামোরে।
ছিলেন হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার প্রশাসক গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, ‘দিল্লিতে যে সরকার রয়েছে তারা কিছুই করছে না। দুর্গাপুজোর দশমী পার হয়ে গিয়েছে। এবার মোদি অসুর নিধন করতে হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোদি-শাহকে নিধন করতে দুর্গা রূপে অবতীর্ণ হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৪ সালে কেন্দ্রে সরকার গড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর কোনও চিন্তা নেই। মোদি ২০২৪ সালে বধ হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।’ পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূলের এই বিক্ষোভকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তৃণমূলের ঘাড়েই পাল্টা দোষ চাপিয়ে বিজেপি নেতা স্বপন পাল বলেছেন, ‘দ্বিচারিতা করছে তৃণমূল।পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি কমাতে কেন্দ্র সরকার যখন জিএসটি লাগু করতে চাইছে তখন তৃণমূল তাতে বাধা দিচ্ছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সব রাজ্যকে ডেকে বলেছিলেন পেট্রোপণ্যে জিএসটি লাগু করা হোক।
সেখানে অবিজেপি রাজ্য গুলো বাধা দেয়। তৃণমূল তাদের মধ্যে অন্যতম। কারণ জিএসটি লাগু হলে মানুষের সুরাহা হবে। পেট্রোল-ডিজেল থেকে এখন রাজ্য সরকার যে কর পাচ্ছে, তা পাবে না। রাজ্য সরকার যত টাকা সেস নেয় তা পাবে না। তাই বাধা দিচ্ছে।আর এখানে নাটক করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। এত জনদরদি যদি হন বিধায়ক, তাহলে চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী শ্রমিক আত্মহত্যা করছে কেন?বিধায়ক, পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ছে কেন শহর জুরে? আসলে এরা মানুষের কথা ভাবে না, শুধু নিজেদের কথা ভাবে। তাই আজ তৃণমূল মানেই দূর্নীতি। একটা রাজ্যে ক্ষমতায় থেকে দেশ দখল করা যায় না সেটা ওরাও জানে।