বাংলার খবর
অশনির জন্য বিদ্যুৎ ভবনে খোলা হল কন্ট্রোল রুম
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ওড়িশা উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। আজ রাতেই ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা অশনির। তবে উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই শক্তি হারাবে এই ঘূর্ণিঝড়। তারপর তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার জেরে মঙ্গল ও বুধবার রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে, বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আর ঝড়-বৃষ্টির কারণে রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। অতীতের ঝড়-বৃষ্টির ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি একাধিকবার হয়েছে।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বর্ষাকালে ঝড়-বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যার খবর ও দ্রুত মেরামতির লক্ষ্যে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১০ মে থেকে বিদ্যুৎ ভবনে একটি ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ঝড়-বৃষ্টিতে কোথাও যদি কোনও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যায় বা ট্রান্সফর্মার বিকল হয়, সরাসরি কন্ট্রোল রুমে ফোন বা হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে তা জানানোর জন্য দু’টো মোবাইল নম্বর চালু করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর দুটি হল : 8900793503/ 8900793504।
ইতিমধ্যেই সংবাদপত্র ও এসএমএসের মাধ্যমে সমস্ত গ্রাহক ও জনসাধারণকে তা জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। আম্ফান, যশের সময় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছিল। ছিঁড়ে গিয়েছিল বিদ্যুতের তার, ভেঙে পড়েছিল খুঁটি। বেশ কিছুদিন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল গোটা রাজ্য। বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক করতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছিল সরকারকে। এবারও যাতে সেই রকম কোনও পরিস্থিতির না হয়, তার জন্য এবার আগে থেকেই কোমড় বেঁধে নেমেছেন রাজ্য সরকার।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৈরি রাখা হচ্ছে দমকল বাহিনীকেও। প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। অশনির জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত উপকূলবর্তী জেলা এবং সমুদ্র সৈকত গুলোতে বেশকিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর। দীঘা, মন্দারমনিতে মাইকিং করা হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই দু’দিন পর্যটকদেরও সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। কোনরকম ফাঁক রাখতে চাইছেনা রাজ্য সরকার।