বাংলার খবর
বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও তৈরি হয়নি ব্রিজ, ক্ষোভে ফুঁসছে সোনামুখী
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বারবার প্রশাসনকে ব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়েও সুরাহা মিলেনি। তাই রীতিমতো ক্ষুব্ধ গ্রামের মানুষ। বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের পিয়ারবেড়া পঞ্চায়েতের বড়চাতরা গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘ ৩৪ বছর বাম সরকারের আমলে বারবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পরে বর্তমান সরকারের ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে প্রতিবছর বর্ষাকাল এলে চরম সমস্যায় পড়তে হয় গ্রামের মানুষদের।
বড়চাতরা গ্রামে শালী নদীর উপর গ্রামবাসীদের একটি ব্রিজ তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। প্রতিবছর বর্ষাকালে শালী নদী জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ফলে সোনামুখী শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গ্রামের মানুষদের। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র এই গ্রাম নয়, ২০ থেকে ২৫ গ্রামের মানুষদের প্রতি বছর এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে বড়চাতরা রামকানাই ইনস্টিটিউশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আরও বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বর্ষায় নদী পরিপূর্ণ থাকলে গ্রামের কারও কোনও বিপদ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বড় সমস্যা হয়ে ওঠে। এইসময় সোনামুখী আসতে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে তাদের আসতে হয়।
বারবার প্রশাসনকে সমস্যার কথা জানানো হলেও এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি বলেই দাবি গ্রামবাসীদের। তাই নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলছেন গ্রামের সাধারণ মানুষরা। তাই সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, ‘বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হয়। সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হোক। তাহলে আমরা খুবই উপকৃত হব।’
এ বিষয়ে সোনামুখী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রণব রায় অবশ্য প্রশাসনের গাফিলতি মানতে নারাজ। তিনি বলেছেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বতোভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে কীভাবে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায়।’ এ বিষয়ে সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যেই আমি বিধানসভাতে এই বিষয়টি তুলেছি। বিধানসভা থেকে আমার কাছে চিঠি এসেছে। উনারা গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছেন। তবে দ্রুত কীভাবে ওখানে একটি স্থায়ী সমস্যার সমাধান করা যায়, তার চেষ্টা আমরাও চালাচ্ছি।’