আন্তর্জাতিক
ঝড়ে ভেঙে পড়ল নিউটনের আপেল গাছ!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রখ্যাত বিজ্ঞানী আইজাক নিউটন তাঁর তিন সূত্রের মাধ্যমে আমাদের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিকে করেছেন সমৃদ্ধ। তাঁর বিখ্যাত তিনটি সূত্রের মধ্যে অন্যতম হলো মহাকর্ষ সূত্র। পৃথিবীর যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আছে তা তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন।
তবে তাঁর এই সূত্র আবিষ্কারের পিছনে একটি ঘটনা আছে। একদিন তিনি একটি আপেল গাছের নিচে বসেছিলেন এমন সময় গাছ থেকে একটি আপেল তাঁর মাথায় এসে পড়ে। আপেলটির গাছ থেকে পড়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাশীল নিউটন আবিষ্কার করে ফেলেন তাঁর মহাকর্ষ সূত্রটি। যে সূত্র বছরের পর বছর ধরে মেনে চলা হচ্ছে এবং আজও ভৌতবিজ্ঞানের একটি অধ্যায় থাকে এই সূত্রের ওপর। অনেকেই আবার মজা করে বলেন যে ওই আপেলটি নাকি তাঁর মাথায় না পড়লে মহাকর্ষ সূত্রের আবিষ্কারই হতো না। যে আপেল গাছটি নিউটনকে দিয়েছিলো প্রজ্ঞা, সেই গাছটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেহাৎ কম নয়। ঐতিহাসিক গুরুত্বকে মাথায় রেখেই সেই আপেল গাছটির নাম দেওয়া হয়েছিল -‘নিউটন অ্যাপেল ট্রি’। সেটি ছিল কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বোটানিক্যাল গার্ডেনে। কিন্ত শুক্রবার ঝড়ে পড়ে যায় নিউটনের আপেল গাছ।
তবে এই গাছটি ছিল আসল গাছটির ক্লোন গাছ। জানা গিয়েছে, এই গাছটি কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বোটানিক্যাল গার্ডেনে শুক্রবার রাত্রে ঝড়ে পড়ে যায়। বোট্যানিক্যাল গার্ডেনের কিউরেটর ড. স্যামুয়েল ব্রোকিংটন জানিয়েছেন,১৯৫৪ সালে গাছটি লাগানো হয়েছিল। এই গাছটির মাতৃ গাছ থেকেই সেই আপেল নিউটনের মাথায় পড়েছিল, যার থেকেই মহাকর্ষ সূত্রের আবিষ্কার হয়। যে গাছটি ঝড়ে পড়ে গিয়েছে, সেটি সেই মাতৃ গাছের ক্লোন ছিল। তবে এই গাছটিরও একটি ক্লোন গাছ বর্তমানে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বোটানিক্যাল গার্ডেনে রয়েছে। সেটি খুব শীঘ্রই বাগানের অন্যস্থানে লাগানো হবে বলে জানিয়েছে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বোটানিক্যাল গার্ডেন কতৃপক্ষ। মূল গাছটি ছিল লিঙ্কনশায়ারের গ্রন্থামের উলসথর্প ম্যানরে। ওই গাছটি উনিশ শতকে ঝোড়ো হওয়ায় পড়ে যায়। কিন্তু গাছটি জীবিত ছিল এবং বছরের পর বছর ধরে গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে বংশবিস্তার করানো হয়। ছত্রাকজনিত কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছিল গাছটি। আর সেই কারণেই শুক্রবার ঝড়ে পড়ে যায় এই গাছটি। তবে এই গাছটির ক্লোন থাকায় নিউটনের অ্যাপেল ট্রি আগের মতোই থাকবে।