ভাইরাল খবর
পরীক্ষার খাতাতেও ‘আজকে আমার মন ভালো নেই’! ছাত্রীর কীর্তি ভাইরাল

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মন ভালো নাই থাকতে পারে। তাই বলে পরীক্ষার খাতায় মন খারাপের কথা! হ্যাঁ, এমন কাণ্ডই ঘটিয়েছেন বাংলাদেশের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থী। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আজকে আমার মন ভালো নেই’ অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। আর বিতর্কে সূত্রপাত সেখানই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রী মিডটার্মের পরীক্ষার খাতায় লিখেছেন, ‘স্যার আজকে আমার মন ভালো নেই’। নিমেষের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেটাও। পরীক্ষার খাতায় ছাত্রীর এই লেখা দেখে রীতিমতো চমকে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদরাও। আর এই পোস্টকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তুমুল হৈ-চৈ পড়ে গিয়েছে।
শিক্ষক মহল বলছে, যে কোনও কারণে মন খারাপ হতেই পারে। কিন্তু পরীক্ষার খাতায় সেই মন খারাপের প্রকাশ মোটেও ঠিক নয়। সবথেকে বড় কথা, মন খারাপের বাহানা দিয়ে ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষার খাতায় আর কোনও প্রশ্নের উত্তরই লেখেননি। ফলে, সেই পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছেন ওই পরীক্ষার্থী। তবে এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ওই ছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে ওই তরুণীর পাশে সকলের দাঁড়ানোর উচিত। দরকারে কাউন্সিলিং করা উচিত। হয়তো ওই ছাত্রী সত্যিই মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ। তাই সবার আগে ওই ছাত্রীকে খুঁজে বার করে তাঁকে সাহায্যের খুবই প্রয়োজন।
তবে বিরুদ্ধ মতামতও রয়েছে। একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘এইভাবে পরীক্ষার খাতায় লেখা যায় না। অনলাইনের যুগে খাতা, পেনের মর্যাদাই এরা ভুলে গিয়েছে।’ আরেকজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এটা এডিট করা। কিন্তু না। পরীক্ষার খাতায় সত্যিই এরকম লেখা যায়! আমাদের পরীক্ষার হলে গিয়ে তো রীতিমতো হাত পা কাঁপত।’
শুধু বাংলাদেশ কেন, আমাদের রাজ্যেও গত কয়েকদিন ধরে এই ধরনের ঘটনা অনেক ঘটেছে। পরীক্ষার খাতায় কেন পরীক্ষার্থীরা তাদের রাগ, অভিমান, হতাশার কথা তুলে ধরেছেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলেই। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল, কলেজ বন্ধ ছিল। পড়ুয়ারা প্রায় ঘর বন্দী হয়েছিলেন। মোবাইলে অনলাইনে পড়াশোনা এবং ঘরের মধ্যে বন্দী থাকায় পড়ুয়াদের মানসিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। সেই কারণেই এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। তাই তাঁদের পরামর্শ, সবার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের মনের অবস্থা বুঝে, সেই মতো পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা উচিত। তবে আশঙ্কা এই যে বাংলাদেশে আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে আবারও স্কুল-কলেজ বন্ধ হওয়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।