পরকীয়ায় লিপ্ত মা জোর করে বিয়ে দিতে চাইছে, আদালতের দ্বারস্থ নাবালিকা
Connect with us

আন্তর্জাতিক

পরকীয়ায় লিপ্ত মা জোর করে বিয়ে দিতে চাইছে, আদালতের দ্বারস্থ নাবালিকা

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নিজের পথ পরিষ্কার করতেই ১৫ বছরের নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিতে জোর করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মা নাকি পরকীয়ায় লিপ্ত। সেই কারণেই নিজের রাস্তা পরিষ্কার করতে মা মেয়ের বিয়ে দিতে চাইছেন বলেই অভিযোগ উঠেছে। তবে ওই নাবালিকা এখনই বিয়ে করতে রাজি নয়। তাই সে আদালতের দারস্থ হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাবার বয়স ১০০ বছর। তিনি নিজেও ছ’টি বিয়ে করেছেন। ১৫ বছর বয়সী ওই নাবালিকা কিশোরী বর্তমানে বাংলাদেশের সিলেটে এক বন্ধুর বাড়িতে থাকলেও সে জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক। এখন সে যে কোনও প্রকারে লন্ডনে ফিরে যেতে চাইছে। আর সেই অনুমতি পেতেই সে আদালতের দারস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই নাবালিকা অভিযোগ করেছে, তার মা জোর করে তার বিয়ে দিতে চেয়েছিল। সে তাতে আপত্তি জানানোয় তাকে মারধর করা হয়। তাই সে নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে বর্তমানে বন্ধুর বাড়িতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই নাবালিকার আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার মা’ও পাল্টা তার বন্ধুর মা সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

পূর্ণিমা জাহান আরও জানিয়েছেন, ওই নাবালিকা এখন আর তার মায়ের কাছে থাকতে চাইছে না। সে ইংল্যান্ডে ফিরে যেতে চায়। তার বাবা একজন ব্রটিশ নাগরিক। তাই তার কাছে বাংলাদেশ এবং ব্রিটেন দুই দেশেরই নাগরিকত্ব রয়েছে। ওই নাবালিকা জানিয়েছে, তার বাবা সিলেটের ওসমানী নগরের বাসিন্দা হলেও ব্রিটিশ নাগরিক। তার বাবার বয়স ১০০ বছর। এবং তিনি নাকি ছ’টি বিয়ে করেছেন। জন্মের পর থেকেই সে ব্রিটেন এবং বাংলাদেশে নিয়মিত যাতায়াত করেছে।

Advertisement

ওই নাবালিকা আরও দাবি করেছে, তার মায়ের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। তাই তার মা তাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে লাভবান হতে চাইছেন। তাই মায়ের কাছে থাকাটা এখন নিরাপদ নয় বলেই সে লন্ডনে বাবার কাছে ফিরে যেতে চাইছে। ওই নাবালিকার আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান জানিয়েছেন, লন্ডন লোয়ার কোর্ট অব জাস্টিস বাংলাদেশের বৃটিশ হাইকমিশনকে অনুরোধ করেছে কিশোরীর বিষয়টি বাংলাদেশের আদালতের নজরে আনার জন্য। এবং তাকে ইংল্যান্ডে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতেও অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু এই কিশোরীর কাস্টডি কে নেবে? ইংল্যান্ডে গিয়ে সে কার কাছে থাকবে? ইংল্যান্ড সরকার তার নিরাপত্তার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে- সেই সমস্ত বিষয়ে নিশ্চিত হতেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।