বাংলার খবর
মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, প্রস্তুতি তুঙ্গে মাহেশের রথযাত্রার
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজঃ রাত পোহালেই মাহেশের রথযাত্রা। এবার মাহেশের রথযাত্রা পড়ল ৬২৬ তম বর্ষে। মার্টিন বার্ন কোম্পানীর তৈরী এই লোহার রথের বয়স ১৩৭ বছর। মাহেশে আগে ছিলো কাঠের রথ। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে গত দুবছর রথযাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছিলো। এবার রথযাত্রা হচ্ছে মহা সমারোহে।
রথের দিন রীতি মেনে জগন্নাথ মন্দিরের দালানে ভক্তদের দর্শন দেন জগন্নাথ বলভদ্র ও সুভদ্রা। তার আগে দুদিন ধরে চলে নবযৌবন উৎসব। প্রথা অনুযায়ী স্নান যাত্রার পর মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকে, ওই সময় জগন্নাথদেবের জ্বর আসে। কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর সারার পর হয় নবযৌবন। রাজবেশে সাজানো হয়, পড়ানো রুপোর হাত। রথের দিন ভোরে ভোগ গ্রহনের পর ভক্তদের সামনে আসেন জগন্নাথ। সারাদিন ধরে চলে পুজো পাঠ। নারায়নই যেহেতু কলিকালের জগন্নাথ সেই কারনে নারায়ন শিলাকে প্রথমে রথে চরানো হয়। তারপর সুভদ্রা, বলভদ্র ও জগন্নাথ। বিকাল চারটেয় হয় রথের রশিতে টান। মাহেশের রথ ম্যানিলা দড়ি দিয়ে টানা হয়। প্রথা অনুযায়ী তোপধ্বনী দিয়ে শুরু হয় রথযাত্রা।
৫০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই লোহার রথ বারো চাকা বিশিষ্ট। ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথযাত্রা মাহেশের রথযাত্রা। কলকাতার শ্যামবাজারের বসু পরিবার রথ তৈরী করে দিয়েছিল। সেই ১২৫ টনের সেই লোহার রথ গড়াবে রাজপথে। তবে টানা দুবছর পরে রথের চাকা ঘোরার ফলে ভক্তদের ঢল নামবে রাস্তায়। এই পরিস্থিতিতে মানতে হবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এদিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তায় সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী। মোতায়ন রাখা হবে মেডিকেল ক্যাম্প ও অ্যাম্বুলেন্স। পানিহাটিতে দূর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ পথে এবং রাস্তার পাশে ব্যারিকেড করা থাকবে বলেই জানা গিয়েছে।