বাংলার খবর
কুপন কেটে জগন্নাথ দর্শন, মাহেশের রথে নতুন নিয়মকে ঘিরে বিক্ষোভ ভক্তদের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মন্দির প্রাঙ্গণে কুড়ি টাকা দিয়ে কুপন কেটে পুজো দিতে হচ্ছে! উল্টো রথের দিনে এই নিয়ে হইচই পড়ে গেল হুগলির মাহেশের ঐতিহ্যবাহী রথে। মাহেশ মাসির বাড়ি চত্বরে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখালেন ভক্তরা।
শনিবার উল্টোরথ। রথে চেপেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে ফিরবেন। আট দিন আগে মাসির বাড়িতে এসেছিলেন জগন্নাথ। সেদিন থেকেই মাসির বাড়ির মন্দিরে চলছিল পুজো-অর্চনা। শনিবার সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। অভিযোগ, সেখানে পুজো দিতে গেলে টাকা দিয়ে নাকি কুপন কাটতে হবে। এই নিয়ম চালু করায় ভক্তরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
৬২৬ বছরের মাহেশের এই রথযাত্রা উৎসবে কোনদিনও এ ধরনের টাকা দিয়ে কুপন কেটে পুজো দিতে হয়নি। জগন্নাথ দেবকে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে ট্রাস্টি ও সেবাইতরা, এমনই অভিযোগ ভক্তদের। তাই জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত তমাল অধিকারীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ভক্তরা। এরই মধ্যেই দেখা যায় বেশ কিছু ভক্ত কুপন কেটেই পুজো দিচ্ছেন।
এর আগে রথের দিন পুজো ও ভোগ নিবেদনের জন্য যে মূল্য ধার্য করা হয়েছিল তা নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়। এনিয়ে মন্দিরের সেবাইতরা কেউ মুখ খুলতে চাননি। খবর পেয়ে মন্দিরে হাজির হন শ্রীরামপুর পৌরসভার তৃনমূল কাউন্সিলররা।
শ্রীরামপুর শহর তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও পৌরসভার কাউন্সিলর শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কেন টাকা দিয়ে জগন্নাথ প্রণাম করতে হবে, ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে জানতে চেয়েছি। এটা চলতে পারেনা। ভগবান সবার। ভক্তদের থেকে কোনও টাকা নেওয়া আগেও হয়নি এখনও হবে না। মাহেশ মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প।এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।’
প্রথা অনুযায়ী শনিবার মাসির বাড়ি থেকে নিজ মন্দিরে ফিরবেন জগন্নাথ। তাই মন্দিরের দ্বার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ভক্তদের দর্শন দেন জগন্নাথ। চলে পুজোপাঠ। নির্ঘণ্ট মেনেই শনিবার দুপুর তিনটের পর শুরু হয় উল্টো রথের দড়িতে টান।