লাইফ স্টাইল
আইসক্রিম-মিষ্টি খেয়ে কমল ৪০ কেজি ওজন!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ওজন কমাতে গেলে প্রথমেই মিষ্টি থেকে বিরত থাকি আমরা। কিন্তু জানেন কি ওজন কমাতে গেলে কম খাওয়ার দরকার নেই, প্রয়োজন সঠিক খাওয়ার। কেউ যদি ওজন কমাতে চায়, তাহলে তাকে একটি সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে, যাতে সঠিক পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার থাকে। সম্প্রতি এমন একজনের কথা জানা গিয়েছে, যিনি সুষম খাদ্য এবং ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে তার ৪০ কেজি ওজন কমিয়েছেন।
৩৯ বছর বয়সী দীপা সোনি। দিল্লির বাসিন্দা তিনি পেশায় একজন অ্যাকাউন্টস এবং সেলস ম্যানেজার। ২০০৯ সালে ১০০ কেজি ওজন ছিল তাঁর। বাড়তি অজনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিছু ডায়েট অনুসরণ করেন তিনি। বর্ধিত ওজনের কারণে পায়ে ব্যথা থেকে পিঠে ব্যথা শুরু হয় তাঁর। এরপর ডায়েট অনুযায়ী চলে ২০১২ সালে ৭৫ কেজিতে নেমেছেন তিনি।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, মাত্র ৩ মাসে ১১ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন। এই মুহূর্তে তাঁর ওজন ৬০ কেজি। দীপা বলেছিলেন যে তিনি দিনে ৪ বার খান যার মধ্যে প্রাতঃরাশ, দুপুরের খাবার, জলখাবার এবং রাতের খাবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সকালের খাবার- কফি (১০ গ্রাম চিনি), ২০০ মিলি লো ফ্যাট দুধ, ১০ গ্রাম মাখন, ডিম (২), ৩ ডিমের সাদা অংশ।
দুপুরের খাবার- ঘি (৫ গ্রাম), ময়দা (৫০ গ্রাম), সবুজ শাকসবজি (১০০ গ্রাম), মসুর, ছোলা, রাজমা (৪০ গ্রাম)।
স্ন্যাকস- বিস্কুট (৪ টে)।
রাতের খাবার- ঘি (৫ গ্রাম), পনির (৮০ গ্রাম), ময়দা (৫০ গ্রাম)। পাশাপাশি আইসক্রিম ও মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন তিনি। দীপা বলেন, ওজন কমানোর পরিবর্তে প্রত্যেকেরই তাদের ফিটনেসের দিকে নজর দেওয়া উচিত। যখন ডাক্তার আমাকে বললেন যে আমি আর্থ্রাইটিস শুরু করেছি, তখন আমি বুঝতে পারি যে আমি অনুপযুক্ত, যার কারণে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। তারপর ওজন কমানোর সাথে সাথে আমার সমস্যা শেষ হয়ে গেল।