বাংলার খবর
অর্থের অভাবে হচ্ছে না ৯ বছরের প্রতিবন্ধী মেয়ের চিকিৎসা, সরকারি সহযোগিতার আশায় অসহায় বাবা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দুঃস্থ অসহায় পরিবার, শিবু ও শোভা মাঝির নয় বছরের প্রতিবন্ধী কন্যা বিপাশা মাঝিকে নিয়ে অসম লড়াই। বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম। নয় বছরের প্রতিবন্ধী কন্যা বিপাশা ও আর এক ছেলেকে নিয়ে এখানেই বাস করেন অসহায় শিবু মাঝি।
বিপাশা জন্মানোর পর থেকেই হাঁটতে পারে না। পারে না ঠিকমতো কথা বলতে। শিবুর না আছে টাকার জোর, আর না আছে জমি-জায়গা। এমনিতেই নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা, কোনোমতে লোকের বাড়িতে কাজ করে পেট চালান পরিবারের সবার। মেয়েকে ঠিক মতো চিকিৎসাও করাতে পারেন না আর্থিক সংকটের কারণে। শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া পায়না আর কোনও সাহায্য। সামর্থ্যে কুলোয়নি মেয়েকে একটা ট্রাইসাইকেল কিনে দেওয়ার। একদিকে আর্থিক অনটন, অপরদিকে সন্তানের অসহ্য কষ্ট, যন্ত্রণা, সামাজিক গ্লানি। সমস্ত কিছু সহ্য করেও এই শিবু মাঝি স্বপ্ন দেখেন মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করার। বিপাশা হাঁটুতে ভর দিয়েই উঠোন, ঘর, গলি ঘোরাঘুরি করে। মাঝে মধ্যেই রক্তাক্ত হয় হাঁটু।
কখনও চামড়া ছিড়ে যায়। তবু শিশু মন, ঘরে তো থাকতে পারে না। সে যে উড়তে চায় খোলা আকাশে। সে জানেনা কেউ তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে কি না। তবুও তার মুখে নির্ভেজাল হাসি আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি। শিবু বলছিলেন, ‘আমি সামান্য লেবারের কাজ করি। মেয়েকে নিয়ে এর আগে অনেকবার ডাক্তার দেখিয়েছি বাঁকুড়া ও বর্ধমানে। মেয়ের চিকিৎসা করাতে অনেক খরচ। আমার অত টাকাও নেই, জমি-জায়গাও নেই। আমার স্ত্রী লোকের বাড়িতে কাজ করতো। কিন্তু এই মেয়ে এবং ছেলেকে দেখার জন্য তাকেও এখনন কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে। তাই চিকিৎসা করানোর পয়সা কোথা থেকে পাব। সরকার যদি কোনরকম সাহায্য করে তাহলেই আমার মেয়ের চিকিৎসা সম্ভব।’ তাই এখন সরকারি সহযোগিতার আশাতেই দিন গুনছে ইন্দাসের মাঝে পরিবার।