বাংলার খবর
বাজারে মরশুমের প্রথম ইলিশ, পাতে পড়ার অপেক্ষায় ভোজন রসিকদের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বঙ্গে বর্ষা প্রবেশের কিছুটা বিলম্ব হলেও বাংলায় ঢুকে গিয়েছে মরশুমের প্রথম ইলিশ মাছ। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মণ্ডের মাছের আড়তে দেখা মিলল মরশুমের প্রথম রুপোলি শস্যের। এখন শুধুমাত্র ভোজনরসিক বাঙালির পাতে পড়ার অপেক্ষা।
জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই থেকে তিন টন ইলিশ মাছ ঢুকেছে ডায়মন্ডহারবার আড়তে। যার এক-একটির সাইজ ৪৫০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম এবং আড়তে পাইকারি দাম (Hilsa Fish Price) প্রতি কেজি ৬০০ টাকা করে। এদিন ইলিশ পেয়ে খুশি মৎস্যজীবী থেকে আড়তদার সকলেই। আগামী দিনে আরও মাছ পাবেন বলে আশাবাদী তাঁরা।
এদিকে গত তিন বছর জালে সেভাবে ইলিশ না পড়ায় জেলেরা খুবই সমস্যার মধ্যে ছিলেন। কারণ, এই বর্ষার সময় প্রতি বছর ইলিশ মাছ বিক্রি করেই লাভের অঙ্ক ঘরে তোলেন মাছ ব্যবসায়ীরা। এদিন মরশুমের প্রথম ইলিশ ঢোকাতে আশার আলো দেখছেন মৎস্যজীবী থেকে আড়তদাররা।
আরও পড়ুন: WBJEE Result 2022: রাজ্য জয়েন্টে প্রথম ব্যারাকপুরের হিমাংশু শেখর
এদিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি দোকানে রয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। চলছে কেনাবেচা। তবে সব ঘরে ইলিশের দেখা মেলেনি। এদিন ইলিশ মেলায় বেশ খুশি মৎস্যজীবী থেকে আড়তদার সকলেই। আগামী দিনে আরও ইলিশ মিলবে বলেই আশাবাদী মৎস্যজীবীরা।
শুধু তাই নয়, বর্ষা ঢোকার আগেই ইলিশ (Hilsa Price) ঢুকে গেল বঙ্গে। এবার বাঙালির পাতে পড়তে চলেছে ইলিশ ভাপা (Ilish Bhapa), ইলিশ সরষে, ইলিশ ভাজা অথবা গরম ভাতে ইলিশের তেল। আর কবজি ডুবিয়ে ইলিশ খাওয়ার আশায় রয়েছেন আপামর বাঙালি। সেই ইলিশ ধরতেই সমুদ্রে পাড়ি দেন একদল মৎস্যজীবী। বুধবার থেকেই সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরই ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে সমুদ্রে যান তাঁরা।
আরও পড়ুন: ৩ মাসের শিশুর মৃত্যু ঘিরে রহস্য
প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত মাছ ধরার উপর সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে ৬১ দিন বন্ধ ছিল সমুদ্রে মৎস্য শিকার। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় নিজেদের তরী ভাসানোর প্রস্তুতি নেন মৎস্যজীবীরা৷