বাংলার খবর
সপ্তাহের প্রথম দিনেই বাজারে ইলিশের ঢল, খুশি ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত সপ্তাহেই উঠে গিয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। আশায় বুক বেঁধেছিলেন ব্যবসায়ীরাও। তাঁদের আশাহত করল না জলের রুপোলি শষ্য। মরসুমের প্রথম দিনেই মৎস্য ব্যবসায়ীদের মুখে ফুটল হাসি। প্রথম দিনেই লাভের মুখ দেখলেন ইলিশ ব্যবসায়ীরা। বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, এবছর প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে মৎস্যজীবীদের জালে। তাদের ভবিষ্যৎ বাণী ভুল হয়নি। প্রথম দিনেই আড়তে উপচে পড়ল ইলিশ। সেইসঙ্গে শুরুতেই ভোজনরসিক বাঙালির পাতে পড়ল ইলিশ মাছ।
ইতিমধ্যেই বঙ্গে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। আর বর্ষা মানেই ইলিশ মাছ। তাই ইলিশের লোভে সপ্তাহের প্রথম দিনের সকালেই শহরের সমস্ত বাজারে ভিড় জমিয়েছিলেন ভোজন রসিক বাঙালি। ৪০০-৫০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১-২ কেজি ওজনের ইলিশের দেখা মিলেছে বাজারে। আর ক্রেতারাও লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বাজারের ব্যাগে ইলিশ ভরেই বাড়ি ফিরলেন। সব মিলিয়ে বর্ষার শুরুতেই বঙ্গে জমে উঠল ইলিশের বাজার।
মরসুমের শুরুতেই ইলিশে বাজার ভরে যাওয়ায় খুশি বিক্রেতারাও। তাঁরা বলছিলেন, ‘গত দুই বছর সেই ভাবে ইলিশ আসেনি। ক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকলেও বাজারে ইলিশের যোগান কম ছিল। ফলে দাম বেশি হওয়ায় সকলের পক্ষে ইলিশ কেনা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে বাজারে ইলিশের অভাব হবে না। ফলে ভোজনরসিকদের সেই আক্ষেপ এবার কাটবে। আমরাও চাই সকলের পাতেই ইলিশ পড়ুক। এবার প্রথম দিনেই আড়ত থেকে যে পরিমাণ মাছ এসেছে, তাতে এবার ইলিশের দাম অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে থাকবে। তাই মনে হচ্ছে, ইলিশ প্রিয় সকল বাঙালিরই ইচ্ছা এবার পূরণ করতে পারব।’
জানা গিয়েছে, দীঘা ডায়মন্ডহারবার সমস্ত জায়গাতেই প্রচুর পরিমাণে ইলিশ উঠেছে। শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্রবাজার আড়তে পৌঁছেছে প্রায় ১১০ টন ইলিশ। সোমবার গড়িয়াহাট বাজারে বড় ইলিশের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে খোকা ইলিশ। ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায়। তবে হাওড়ার মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথমদিনের যোগান দেখেই বোঝা সম্ভব নয় বাকি মরসুমে কেমন মাছ আসবে। তবে হাতে আরও সময় রয়েছে। তাই তাঁরাও আশাবাদী। সোমবার হাওড়ার বাজারে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকায়। যোগান বাড়লে ইলিশের দাম আরও কমবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।