বাংলার খবর
জামাইষষ্ঠীর ভোজে মিলবে ইলিশ, দামের আগুনে দুশ্চিন্তায় শাশুড়িরা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সামনেই ‘জামাইষষ্ঠী’। আর জামাইষষ্ঠী মানেই যে ভুরিভোজ তা বলাই বাহুল্য। বছরের এই বিশেষ দিনে বাঙালির ঘরে-ঘরে জামাই অ্যাপায়নে মেতে ওঠেন শাশুড়ি মায়েরা।
বছরের এই একটা বিশেষ দিনে কী-কী ব্যঞ্জনে ভরে উঠবে জামাইয়ের পাত, তা নিয়ে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকেই পড়ে যায় বিস্তর আলোচনা-তোড়জোড়। কিন্তু চলতি বছরে শাশুড়ি মায়েদের জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ! জামাইষষ্ঠীর থালায় এবার নাও পড়তে পারে জলের রুপোলি শস্য ইলিশ মাছ।
কারণ, সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আগামী দু’মাস সমুদ্রে ইলিশ ধরা বারণ মৎস্যজীবীদের। তাই শ্বাশুড়ি থেকে মাছ ব্যবসায়ীদের এখন ভরসা কেবল রূপনারায়ণ। শ্বাশুড়িদের দুশ্চিন্তা দূর করতে বিরল ইলিশ আড়তে সরিয়ে রাখছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। ফলে এখন বাজারে গেলেও দেখা মিলছে না বাঙালির সাধের ইলিশ। তবে কোনও ক্রেতা ইলিশ নিতে চাইলে একেবারে হতাশ হবেন না।
আরও পড়ুন: কার জন্য সিবিআই-এর জালে পরেশ, চাকরি গেল কন্যার? জেনে নিন
ক্রেতাদের সামনে না থাকলেও আড়তগুলিতে গোডাউনে মজুত করে রাখা রয়েছে রুপোলি শস্য। তবে জোগান কম থাকায় ইলিশের দাম অনেকটাই বেশি। তবে ক্রেতারা চাইলে মহার্ঘ ইলিশ গোডাউন থেকে বের করে এনে দিচ্ছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। মহিষাদল, মেচেদা, হলদিয়ার মাছ বাজারগুলিতে ঘুরে এমনই ছবি দেখা গেল। তবে বর্তমানে ইলিশের জোগান অনেকটাই কম। ফলে জামাইষষ্ঠীতে জামাইদের পাতে ইলিশ পড়বে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে ইলিশ আসে দিঘার মোহনা থেকে। সমুদ্রে এখন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকায় মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে পাড়ি দেয়নি। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ফলে রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন মাছের আড়তে অমিল ইলিশ। তবে রূপনারায়ণ নদীতে কিছু মৎস্যজীবী জাল ফেলে মাছ ধরছেন।
আরও পড়ুন: তদন্ত অসম্পূর্ণ! আগামী সপ্তাহে ফের CBI তলব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে
তাঁদের জালে উঠে আসা ইলিশ বিভিন্ন মার্কেটে যাচ্ছে। ইলিশের জোগান কম থাকায় দামও অনেকটা বেশি। সব মিলিয়ে জামাইষষ্ঠীতে জামাইকে শাশুড়িরা পাতে সরষে ইলিশ দিতে পারবেন কিনা তা এখন যেন লাখ টাকার প্রশ্ন!