বাংলার খবর
পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নতুন রূপে সেজে উঠছে দীঘা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় হলিডে ডেস্টিনেশন দীঘাকে ঘিরে নানান পরিকল্পনা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দীঘাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে একাধিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পর পর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দীঘা। তারপর সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে দীঘাকে আরও ভালো করে সাজিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরের দেওয়া ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দীঘাকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার কাজে হাত দেয় দীঘা শঙ্করপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। দীঘার সেই সৌন্দার্যয়নের কাজ প্রায় শেষের পথে।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দীঘা-মন্দারমনি-তাজপুর-শঙ্করপুরের মধ্যে তৈরি হয়েছে সৈকত সরণি বা মেরিন ড্রাইভ। মুম্বইয়ের আদলে সমুদ্রের ধার ধরে দীঘাতে তৈরি হয়েছে প্রায় ২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যৈর মেরিন ড্রাইভ। খুব শীঘ্রই এই মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমুদ্রের ঢেউ দেখতে দেখতে অল্প সময়ের মধ্যেই পর্যটকরা কাঁথি থেকে দীঘায় পৌঁছে যেতে পারবেন এই মেরিন ড্রাইভ ধরে।
এছাড়াও ওল্ড দীঘায় বিশ্ব বাংলা ১ ও বিশ্ব বাংলা ২ উদ্যানকেও ঢেলে সাজানো হয়েছে। সমুদ্র সৈকতের ধারে আলো লাগানো হয়েছে। পার্ক ও সমুদ্রের ধারে পর্যটকদের বসার জন্যও করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য ওল্ড দীঘা এবং নিউ দীঘায় দু’টি স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। সেই স্ক্রিনগুলোতে দীঘার বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার, গান, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পগুলোকে তুলে ধরা হবে।
দীঘা শংকরপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সিইও মানস কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে একটি জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে। পয়লা আগস্ট থেকেই পর্যটকদের জন্যই তা চালু হয়ে যাবে। এখন সেটির পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। বাকি তিনটি স্ক্রিনও খুব শীঘ্রই লাগানো হবে বলে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দীঘায় দু’টি উদ্যানকে নগরোন্নয়ন দফতরের সহায়তায় ঢেলে সাজানো হচ্ছে। পার্কে ঢোকার মুখে রয়েছে সুসজ্জিত গেট। ইতিমধ্যেই ওই পার্ক দু’টো সেখানকার মানুষ জনদের পছন্দের প্রি ওয়েডিং ফোটো শ্যুটের হটস্পট হয়ে উঠেছে। সেই উদ্যানগুলোতে শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। দীঘা শঙ্করপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সিইও মানস কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, দীঘার উন্নয়ন ও সৌন্দার্যয়নের জন্য যে ৩০ স্কিম হাতে নেওয়া হয়েছিল। তারমধ্যে ১৬টির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি ১৪টির কাজও শেষের মুখে।