দিঘায় স্নানে নেমে তলিয়ে গেল পর্যটক
Connect with us

বাংলার খবর

দিঘায় স্নানে নেমে তলিয়ে গেল পর্যটক

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দিঘায় ঘুরতে এসে সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল এক পর্যটক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ দিঘা ক্ষণিকা সমুদ্রস্নান ঘাটে। এদিন ঘাটে স্নান করার সময় অচৈতন্য হয়ে যায় প্রিয়াঙ্কা সেনগুপ্ত (১২) নামের ওই পর্যটক। দিঘা থানার কর্তব্যরত পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরা দেখতে পেয়ে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি তাকে দিঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, মেয়েটি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে এসেছিল। জানা গিয়েছে ওই মেয়েটির মৃগী রোগে আক্রান্ত তাই এমনটা ঘটেছে।

অন্যদিকে, বাজি তৈরির গ্রাম ছেড়ুয়ায় রাতের অন্ধকারে আচমকা অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটল এক গৃহস্থের বাড়িতে। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এক গৃহবধূ সহ তার দুই বছরের পুত্রসন্তান। এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনায় বৃস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে বছর দু’য়ের ওই শিশুর।

এদিকে, হঠাৎ করে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে হঠাৎই ছেড়ুয়ায় শেখ কাশীরুদ্দিনের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেসময় বাড়ির ভিতরেই ছিলেন কাশীরুদ্দিনের স্ত্রী রোকসানা বিবি ও তার দু বছরের পুত্রসন্তান আব্দুল হালিম। অগ্নিদগ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকেই ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে বৃহস্পতিবার সকালেই মারা যায় বছর দু’য়ের ছোট্ট শিশুটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে শিশুর মা।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাড়িতে মজুত থাকা বেআইনি বাজিতে বিধ্বংসী আগুন, প্রাণ গেল একরত্তির

মেদিনীপুর সদর ব্লকের ছেড়ুয়া গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই তৈরি হয় নানা ধরনের শব্দবাজি ও আতসবাজি। অভিযোগ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে চালানো হয় ওই বাজির কারখানা।সূত্রের খবর, শেখ কাশীরুদ্দিনের বাড়িতেও মজুত থাকত নানা ধরনের শব্দবাজি । বুধবার রাতে সেই বাড়িতেই আগুন লেগে অগ্নিদগ্ধ হয় ওই গৃহবধূ ও তার ছেলে। আহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই দাম্পত্য কলহ চলছিল রুকসানা বিবি ও তার স্বামীর মধ্যে। এর আগেও একাধিকবার রুকসানাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ প্রিভিলেজ কমিটির কাছে পাঠালেন স্পিকার

Advertisement

যদিও এই ঘটনায় আহতের বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখুক পুলিশ।এখনও পর্যন্ত ঘটনা নিয়ে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মজুত করা বাজিতে আগুন লেগে এই ঘটনা নাকি গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। তবে ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত হদিশ মেলেনি অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের। এদিকে গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।