বাংলার খবর
জামাইদের রসনা তৃপ্তিতে ইলিশে ছেয়েছে জলপাইগুড়ির বাজার
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী। করোনার কারণে গত দু’বছর জামাইদের মুখ একটু ভার ছিল। কারণ, লকডাউনে ঘরে বসেই কাটাতে হয়েছিল এই দিনটি। এবার দেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই ইতিমধ্যেই ঘরে ঘরে শুরু হয়ে গিয়েছে জামাইষষ্ঠীর জোর প্রস্তুতি। আর জামাইদের রসনা তৃপ্তিতে ইলিশের ছড়াছড়ি বাজারে। আগের দিন শনিবার জলপাইগুড়ির দিনবাজারে ক্রেতাদের ইলিশ কেনার হিড়িক ছিল চোখে পড়ার মতো।
বাজারে নতুন ইলিশ মাছ চলে আসায় মাছ ব্যবসায়ীরাও বেশ খুশি। জলপাইগুড়ির দিনবাজারের পাইকারি ও খুচরো বাজারে গত দু’দিন ধরে প্রচুর পরিমান ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে স্টেশন বাজার, বয়েলখানা বাজার, বৌবাজার ও রাজবাড়িপাড়া, ইন্দিরা কলোনি বাজারেও এখন ইলিশ মাছের রমরমা। তবে উত্তরবঙ্গের বাজারে এখনও পদ্মার ইলিশ আসেনি। বর্তমানে ডায়মন্ড হারবার, ফরাক্কা ও ওড়িশা থেকেই আসা ইলিশই পাওয়া যাচ্ছে জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। জলপাইগুড়ির দিনবাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন,
জামাইষষ্ঠীর জন্য বর্ষার শুরুতেই প্রচুর ইলিশ চলে এসেছে বাজারে। ওজন মাঝারি মান থেকে শুরু করে সব মাপেরই রয়েছে। দামও কিছুটা নাগালের মধ্যেই রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।
রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী। তাই বাজারে অন্যান্য দোকান গুলোতেও উপচে পড়ছে ভিড়। শ্বশুররা জামাইয়ের জন্য নতুন পোশাক কিনতেও ব্যস্ত। কারণ গত দু’বছর তেমনভাবে হয়নি জামাই ষষ্ঠী। তাই এবার সেই হাসি মুখেই ষষ্ঠীর বাজারে ব্যস্ত শ্বশুর-শ্বাশুড়িরা। খুশি বিক্রিতরাও। দু’বছর তাঁদের ব্যবসাও মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এবছর একটু ভালো বেচা-কেনা হচ্ছে বলেই জানালেন বিক্রেতারা। গত দু’বছর অনলাইনের মাধ্যমেই জামাইষষ্ঠীর বেচা-কেনা হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই অফলাইনে অর্থাৎ দোকানে ভিড় বেড়েছে।