বাংলার খবর
জামাইদের রসনা তৃপ্তিতে জামাইষষ্ঠী স্পেশাল ‘শ্বাশুড়ি জিন্দাবাদ’ সন্দেশ চন্দননগরে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘শ্বাশুড়ি জিন্দাবাদ সন্দেশ’ এবার জামাইষষ্ঠীর মিষ্টিতে বড় আকর্ষণ! জামাইষষ্ঠীতে পঞ্চ ব্যঞ্জনের আয়োজন থাকলেও শেষ পাতে মিষ্টি চাই। সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে জামাইরা এই জামাইষষ্ঠীর জন্য। আর এই জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে প্রতি বছরই কিছু নতুন মিষ্টি তৈরি হয়। সেগুলো চেখেও দেখি আমরা। দাম কিছুটা বেশি ঠিকই। তবে জামাইষষ্ঠী তো পালন করতে হবে। শ্বাশুড়িরা আবার জামাইকে জল খাবারে প্লেট ভর্তি মিষ্টি দেবেন। স্বাস্থ্য সচেতনতা সত্বেও জামাইষষ্ঠীতে মিষ্টির চাহিদা কিন্তু কমেনি।
মিষ্টিতে বরাবরই হুগলি জেলার চন্দননগরের জগৎজোড়া সুনাম রয়েছে। চন্দননগরের কয়েকটি বিখ্যাত মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান হরেক রকম মিষ্টির পসরা সাজিয়েছে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে। বিভিন্ন ধরনের ক্রিমের আইটেম, ক্যাডবেরি সন্দেশ,বেকড রসমাধুরী থেকে দুধের নতুন ধরনের মিষ্টি, রঙিন রসগোল্লা তো আছেই। তবে এবারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা কেশর পেস্তা দিয়ে তৈরি ‘শ্বাশুড়ি জিন্দাবাদ’ সন্দেশ।জামাইষষ্ঠীতে মিষ্টির চাহিদা থাকে বরাবর। তবে বিগত দু’বছরে করোনা অতিমারির জন্য মিষ্টি ব্যবসাও মার খেয়েছে। এবার আর সেই অবস্থা নেই। যদিও সব জিনিসের দাম বাড়ায় মিষ্টির দামও বেড়েছে।
মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী প্রণব শীল জানিয়েছেন, এবারে উৎসব ও অনুষ্ঠানে মিষ্টির চাহিদা খুবই ভালো। তবে করোনার জের এখনও কাটিয়ে ওঠা যায়নি। আর কাঁচা মালের দাম বেড়েছে। তাই মিষ্টিতে পাঁচ থেকে দশ শতাংশ দাম বাড়াতে হয়েছে। তবে নতুন নতুন মিষ্টির চাহিদা আছে।আরেক মিষ্টি ব্যবসায়ী ধনঞ্জয় দাস বলেন, ব্যাপক চাহিদা আছে শ্বাশুড়ি জিন্দাবাদ মিষ্টির। ক্রেতাদের দিয়ে উঠতে পারা যাচ্ছে না। মানকুন্ডুর এক ক্রেতা সুচন্দ্রা পাল জানালেন, চন্দননগরের মিষ্টি সবসময়ই ভালো।