'ভালোমন্দ রেঁধে আনত পালবাড়ির বউরা', দাবি বাগদার টোটো চালকের স্ত্রীর
Connect with us

বাংলার খবর

‘ভালোমন্দ রেঁধে আনত পালবাড়ির বউরা’, দাবি বাগদার টোটো চালকের স্ত্রীর

Raju Dhara

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ:  উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় প্রেমিক টোটো চালকদের সঙ্গে একই পরিবারের দুই গৃহবধূর বাড়ি থেকে চম্পট দেওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেই নিয়ে সর্বত্র কম চর্চা হচ্ছে না। এবার পলাতক এক টোটো চালক বিশ্বজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী কাকলি মণ্ডল মুখ খুললেন। তিনি জানিয়েছে, ইদানিং প্রায়ই তাঁর স্বামী বিশ্বজিতের ফোন সবসময় ব্যস্ত থাকত। সন্দেহ হওয়ায় তিনি স্বামীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। উত্তরে নাকি বিশ্বজিৎ জানিয়েছিলেন, কাজের চাপের জন্যই ফোন সবসময় ব্যস্ত থাকে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বাগদার পালবাড়ির দুই গৃহবধূ মিঠু পাল ও পবিত্রা পাল তাঁদের দুই টোটো চালক প্রেমিক বিশ্বজিৎ মন্ডল এবং শিবু মজুমদারের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে জানা যায়, বাড়ির মেজ বউ মিঠুর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এই বিশ্বজিতের। এবং ছোট বউ পবিত্রা ও তাঁর ৫ বছরের সন্তানকে নিয়ে পালান শিবু মজুমদার।

এদিন বিশ্বজিতের স্ত্রী কাকলি জানিয়েছেন, ‘গত ২১ তারিখ শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছে আমার স্বামী। আমি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করব। কোনদিন স্বামীর সঙ্গে আমার কোনও রকম ঝগড়া হয়নি। আমরা কুড়ি বছর ধরে সংসার করছি। কিন্তু ও কেন এরকমটা করল, বুঝতে পারছি না।’ তবে স্বামীর এই ‘মতিভ্রমের’ জন্য তাঁর বন্ধু তথা অপর পলাতক টোটো চালক শিবু মজুমদারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিশ্বজিতের স্ত্রী কাকলি। তাঁর অভিযোগ, ‘আমার স্বামী কোনদিন ঘরের বাইরে পা রাখেনি। ওকে শিবুই নিয়ে গিয়েছে। শিবুর একটা চালের দোকান আছে। সেখানে রুটি, মাংস-ভালো মন্দ রেঁধে প্রায়ই নিয়ে আসত পালবাড়ি দুই বউ। সেটা আমি শুনেছিলাম। এও জানতাম, শিবুর সঙ্গে পাল বাড়ির ছোট বউ পবিত্রার সম্পর্ক আছে। কিন্তু আমার স্বামীর সঙ্গে ওই বাড়ির মেজ বউ মিঠুর সম্পর্ক রয়েছে, তা আমি ভাবতেই পারিনি।’ তবে ইদানিং এই নিয়ে তাঁর মনে সন্দেহ জেগেছিল বলেও জানিয়েছেন কাকলি। বলেছেন, ‘গত এক-দুই মাস ধরে প্রায় সবসময়ই আমার স্বামীর ফোন ব্যস্ত পেতাম। এতক্ষণ ফোন ব্যস্ত থাকে কেন, কার সঙ্গে কথা বলো- তাও আমি ওকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ও বলত কাজের ব্যস্ততার জন্যই ফোন করতে হয় সব সময়। তারপরও আমার হালকা সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু এই ব্যাপারে ও আমাকে সবসময় আশ্বস্ত করত। তারপর তো এই ঘটনা ঘটল। শুধু বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে তাই নয়, আমার স্বামী ব্যাঙ্ক ও ঘর থেকে ৫০ হাজার টাকাও নিয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে আমি একটা দলিল খুঁজে পাচ্ছিনা। এখন জানিনা, সেটাও ওই নিয়ে গিয়েছে কিনা। আগে বাড়িতে খুঁজে দেখি, তারপরই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারব।’

Advertisement

শিবু মজুমদারের সঙ্গে পলাতক পবিত্রা পালের স্বামী নকুল পাল আগের দিন জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী ফিরে এলে তাঁকে আবারও মেনে নেবেন এবং ভালোবেসে আঁকড়ে ধরবেন। তবে বিশ্বজিতের স্ত্রী কাকলি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী ফিরে এলে তাঁকে আপাতত মেনে নিলেও ভবিষ্যতে মানবেন না। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ‘আমার শ্বাশুড়ি শয্যাশায়ী। তাই এখন ও ফিরে এলে মেনে নেব। তাহলে আমার সংসারটা বেঁচে যাবে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে দুই-চার মাসের মধ্যে যদি ফিরে আসে তাহলে আমি ওকে মেনে নেব। আর যদি বছর দুয়েক পরে আসে, তাহলে বাড়িতে ঢুকতে দেব না। ও হাজার চেষ্টা করেও কিছু করতে পারবে না। কারণ বাড়ি ওর নামে রেজিস্ট্রি করা নেই।’

Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.