লাইফ স্টাইল
শিশুদের ভবিষ্যৎ হবে সুন্দর এই ৮ টি গুণে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক বিকাশও যেন সঠিক ভাবে হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ,ছোট অবস্থায় শিশু যে ধরণের শিক্ষা তার পরিবার থেকে পাবে সেটাই তার পরবর্তী জীবনে প্রতিফলিত হবে। এ কারণেই সন্তানকে সুশিক্ষা ছোট বয়স থেকেই দিতে হবে। অভিভাবকদের এমন কয়েকটি গুণ সন্তানদের রপ্ত করানো উচিত যা পরবর্তী জীবনে তাদের সুফল দেবে। সেগুলি হলো –
১) সহযোগিতা
সহযোগিতা ও সহমর্মিতা এই দুই মানবিক গুণ থাকা ভীষণ দরকারী। সমাজে চলতে গেলে এই মানবিক গুণগুলি থাকা বাঞ্ছনীয়। তাই ছোট বয়স থেকে যাতে সন্তান এই দুই মানবিক গুণগুলি রপ্ত করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। সন্তান তার সহপাঠী বা সমবয়সীদের প্রতি যেনো সহমর্মী ও সহযোগী মনস্ক হয় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।
২) শেয়ারিং
কথাতেই আছে ‘শেয়ারিং ইস কেয়ারিং’-তাই শেয়ারিং বা কোনো কিছু ভাগ করে নিতে শেখাটা খুব প্রয়োজনীয়। আমরা সামাজিক জীব ,সমাজের সবার সঙ্গে থেকেই আমাদের চলতে হয়। তাই নিজের কিছু পছন্দের জিনিস বন্ধু বা সমবয়সী কেন আত্মীয় এবং ভাই-বোনদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়াটাও একটা শিক্ষা আর এই শিক্ষা ছোট বয়স থেকেই পিত মাতার তার সন্তানদের দেওয়া উচিত।
৩) শুনতে শেখা
ছোট থেকে যেমন নিজের মতামত ও চিন্তা-ভাবনা প্রকাশের শিক্ষা দেওয়া উচিত ঠিক তেমনি একই ভাবে অন্যের কথা শুনতে শেখা বা অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়াটাও শেখাতে হবে। কারণ গুরুজনদের সুশিক্ষা শুনে ও সেটা মেনেই জীবনে আসতে পারে সফলতা।
৪) সামাজিকতা
ছোট বয়স থেকেই কিন্তু আমাদের সামাজিকতার শিক্ষা হওয়া উচিত। আমাদের প্রত্যেকেই সমাজে মেলামেশা করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় আর সেই নিয়মগুলি অভিভাকদের কাছে থেকেই শিশু বয়সে আমরা পাই।
৫) সব রকম পরিস্থিতিতে মানানোর শিক্ষা
ছোট বয়স থেকে শিশুরা যাতে সকল পরিস্থিতিকে সামলে নিতে পারে সেটা বড়দের সেখান উচিত। জীবনে আসা সুখ-দুঃখ উভয়কেই যাতে মেনে নিতে পারে ,কোনো কারণেই যেনো মানসিক চাপ অনুভব না করে সেটা ছোট বয়স থেকেই তাদের বোঝানো দরকার।
৬) অনুপ্রেরণা
অনুপ্রেরণা পেতে আমরা যেমন ভালোবাসি তেমনি অন্যকেও অনুপ্রেরণা দিতে হয়। কোনো কাজে অপরকে উৎসাহিত করার শিক্ষাটাও বিশেষ জরুরি ছোটবয়সে।
৭) সম্মান দেওয়া
ঈশ্বর আমাদের সবাইকে আলাদা আলাদা করে তৈরী করেছেন। কিন্তু আমরা সবাই নিজের মতো করে সুন্দর। তবে অনেক সময়েই আমাদের কারুর কারুর কিছু দুর্বলতা থাকে কিন্তু সেই দুর্বলতা নিয়ে সন্তানরা যাতে কখনোই মজা না করে সে বিষয়েও শিক্ষা দিতে হবে ছোট বয়সেই। কখনোই কাউকে ছোট করে ,অপমান করে বা মনে কষ্ট দিয়ে কথা না বলতে সেখান একান্ত জরুরি।
৮) নিজেদের জীবন সম্পর্কে অবগত করুন
সারাদিন সন্তানদের জন্য আমরা কি করছি সে বিষয়ে তাদের জানানো উচিত। সারা দিন আমরা যা করছি সেটা ভুল হোক বা ঠিক সেগুলো সন্তানদের সঙ্গে আলোচনা করুন।আপনার কি ভুল হয়েছে সেট সন্তান কে বললে সে বুঝবে যে ভুল সবাই করতে পারে। কিন্তু সেটা শুধরে নিতেও হয়। সর্বোপরি,সন্তানদের বুঝতে দিন যে আপনারা আপনাদের মা-বাবাকে কতটা ভালোবাসেন তাহলে তারাও আপনাদের সেই ভাবেই ভালোবাসবে।