বাংলার খবর
চোর নয়, চোরের লুকিয়ে রাখা দ্রব্য প্যানে হাত ঢুকিয়ে বের করতে নাজেহাল পুলিশ!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত ২৬ থেকে ২৯ ডিসেম্বর নিজের রামচন্দ্র পুরের ফ্ল্যাটে ছিলেন না মঞ্জু মাইতি। পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন ঘর লন্ডভন্ড, আলমারির তালা ভাঙা। বুঝতে পারেন, ঘরে রাখা টাকা-পয়সা, সোনা-দানা সব চুরি হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
পয়লা জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হরিদেবপুর থানায়। তদন্ত শুরু করে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। তদেন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় এবং তাদের কাছ থেকে খোঁজ পাওয়া যায় শঙ্কর রাজভর ওরফে হাজুর। গত রবিবার হরিদেবপুরের কবরডাঙা মোড়ের কাছ থেকে হাজুকে তাঁর ঘর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথমে অস্বীকার করলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চুরির কথা স্বীকার করে হাজু। এরপর হাজুর দুটি ঠিকানাতেই তল্লাশি চালিয়ে কিছু খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ। একটু চাপ দাতেই চোরাই মাল লুকিয়ে রাখার জায়গা জানায় হাজু। আর তাতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ! কারণ, হাজু বাথরুমে গিয়ে প্যান দেখিয়ে বলে, এর মধ্যে আছে।
পুলিশ চোরাই মাল বের করতে বলতেই কান্না জুরে দিয়ে হাজু পুলিশকে বলেন, ‘আপনি যা জিজ্ঞেস করেছেন সব বলেছি, আমি প্যানের মধ্যে হাত দিয়ে বের করতে পারবো না। আমার গন্ধ লাগে।’ অগত্যা পুলিশ আধিকারিক প্যানের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে একের পর এক প্যাকেটে রাখা ৫০৯ টাকার নোটের এক লক্ষ টাকার বান্ডিল এবং সোনার গয়না উদ্ধার করে। খবর পাওয়া গিয়েছে, পুলিশ কর্মীর কাজে উচ্ছ্বসিত লালবাজার। ওই পুলিশ কর্মীকে পুরস্কৃত করা হবে। যাঁর বাড়ি থেকে এই টাকা ও গহনা চুরি গিয়েছিল, সেই মঞ্জু মাইতি জানিয়েছেন, তিনি আসলে মেদিনীপুরের বাসিন্দা। কিছুদিন আগেই রামচন্দ্রপুরে ফ্ল্যাট কিনে এসেছেন। তাঁর একটি দোকান কেনার কথা রয়েছে। তার জন্য কিছু টাকা দেওয়া হলেও ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া বাকি ছিল। সেই টাকারই কিছুটা তিনি ফ্ল্যাটে রেখে গিয়েছিলেন। চোর সেটাই চুরি করেছিল।’