বাংলার খবর
করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত মালদার ১, দক্ষিণ দিনাজপুরে নিখোঁজ ৩
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ৩ জন অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (coromandel express) করে যাচ্ছিলেন কেরলে

বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মালদার বামনগোলা এলাকার একজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের নিখোঁজের খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে উৎকন্ঠায় পরিবারের সদস্যরা৷ গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়ে পুলিশ প্রশাসন।
বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মালদার বামনগোলা এলাকার এক ব্যক্তির। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ৩ জন অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (coromandel express) করে যাচ্ছিলেন কেরলে। তাদের মধ্যে একজন নিখোঁজ রয়েছে এখনও পর্যন্ত। ভাগ্যক্রমে দুজন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার গাঁও গঙ্গারামপুর গ্রামের একজনের নিখোঁজ থাকার খবর পাওয়া গেছে৷
পাশাপাশি তার সাথে যাওয়া মালদার বামনগোলার বাসিন্দা এক আত্মীয় নিত্যম রায়ের মৃত্যু হয়েছে৷ গত বৃহস্পতিবার তারা রওনা দিয়েছিল কেরালার উদ্দেশ্যে। করমন্ডল এক্সপ্রেসের রওনা দেওয়ার পর বাড়ির সঙ্গে শুক্রবার যোগাযোগ হয়েছিল সন্ধ্যা ছয়টায়। তারপর থেকে তাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করা যায় নি। করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর তার এক আত্মীয় নিত্যন রায়ের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সেখানে কোনো একজন ব্যক্তি ফোন তুলে নিত্যনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। কিন্তু তার সঙ্গে থাকা চন্দন রায়ের কোন খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন – এ যেন এককথায় মৃত্যুপুরী, ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
ফলে উদ্বিগ্ন আর আশঙ্কায় রয়েছে গোটা পরিবার। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে চন্দন রায়ের পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার খবর পেয়ে এদিন সকালে ঘটনাস্থলে আসে তপন থানার পুলিশ। আসেন বিজেপির স্থানীয় নেতারাও৷ ওই পরিবারকে সবরকম ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে আরো অনেক নিখোঁজের খবর মিলছে বলে জানা গিয়েছে। হরিরামপুর থানা এলাকার দুই বাসিন্দাও ওই ট্রেনে ছিলেন। তাদেরও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন
এইবিষয়ে চন্দনের পরিবারের সদস্যরা জানান, চন্দন রায় ও তার আত্মীয় নিত্যম রায় কাজের সূত্রে করমন্ডল এক্সপ্রেস (coromandel express) করে কেরালাতে যাচ্ছিলো। রওনা দেওয়ার সময় ফোন করে বলেছিলো আমরা রওনা দিয়েছি। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে চন্দনকে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ বলছে। তারপর নিত্যনকে ফোন করলে অচেনা একজন ফোন রিসিভ করে বলে আপনি যাকে ফোন করেছেন সে বেঁচে নেই। আর চন্দনের এখনো পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এবিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা জুল্লুর রহমান জানান, তারা হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে সব জানিয়েছেন। যে তার গ্রামের ছেলে চন্দন রায় যার বয়স ৩৮, আর তার সাথে তার ভগ্নিপতি নিত্যম রায় তারা কাজের সূত্রে করমন্ডল এক্সপ্রেস করে কেরালাতে যাচ্ছিলো। কিন্তু তাঁদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি রাজ্যে থেকে যে উদ্ধারকারী দল গিয়েছে তাঁদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রেখেছেন।