বাংলার খবর
অব্যাহত কুপন বিতর্ক, গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শ্রীরামপুরের মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে গোষ্ঠী কোন্দলের আঁচ ছড়িয়ে পড়ল মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে। আর যার জেরে রীতি মতো চর্চার কেন্দ্র বিন্দুতে শ্রীরামপুর মাহেশ জগন্নাথ মন্দির।
ঘটনার সূত্রপাত উল্টোরথের দিন। সকাল থেকেই সেখানে মন্দির কর্তৃপক্ষ হঠাৎই ২০ টাকা দিয়ে কুপন কেটে মন্দিরের ভিতর প্রবেশের অনুমতি দেয়। বিক্ষোভে ফেটে পরেন জগন্নাথ ভক্ত থেকে দর্শনার্থীরা। শ্রীরামপুর পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর শান্তুনু গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় তখনকার মত সমস্যার সমাধান হয়। তবে সেই বিতর্কের রেশ চলতে থাকে।
জানা গিয়েছে, মূলত এই জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের দায়িত্বে রয়েছে অধিকারী পরিবার। আর এই অধিকারী পরিবারের মধ্যে শুরু হয় কাদা ছোঁড়াছুড়ি। ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী অভিযোগ তোলেন, জগন্নাথ মন্দিরের আরও এক সেবাইত তার দাদা তমাল অধিকারীর বিরুদ্ধে। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কুপন করা হয়েছে। যা এর আগে হয়নি। এরপরই তমাল অধিকারী সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলেন তার বাবা সৌমেন অধিকারী ও ভাই পিয়ালের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: প্রথম দিনেই রেকর্ড, ৩১ হাজার যাত্রী সওয়ার হলেন শিয়ালদহ মেট্রোয়!
তমালের অভিযোগ, জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের পাশাপাশি আরও একটি ট্রাস্ট করে টাকাপয়সা নয়ছয় করা হচ্ছে। রথের দিন ত্রিশ টাকা করে কুপন করা হয়েছিল সেটা নিয়ে কোনও কথা ওঠেনি। লাখ লাখ টাকার ডাক নেওয়া হয় সেটা তুলতে এসব করা হয়। পুজোর ভোগের ক্ষেত্রেও অনেক বেনিয়ম করা হয়েছে,অভিযোগ তমাল অধিকারীর।
অধিকারী পরিবারের আর এক সদস্য সমীর অধিকারী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখী হয়ে দাবি করেন যে, ট্রাস্টি বোর্ডের হিসেব কোনওদিনই দেখানো হয় না। এছাড়াও ট্রাস্টি বোর্ডের তিনজন সদস্য মন্দির নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ”অবিলম্বে সরকার এগিয়ে এসে জগন্নাথ মন্দিরে ট্রাস্টি বোর্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করুক। যে ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে তার সমাপ্তি ঘটুক। যাতে আগামী দিনে শ্রীরামপুর সহ রাজ্যবাসীর কাছে ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন থাকে”।
আরও পড়ুন: মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা, অফিস টাইমে ভোগান্তিতে যাত্রীরা
জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানান, যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্যি না। জগন্নাথ মন্দিরের ৫৪ ঘর সেবাইতের মধ্যে দুইজন অভিযোগ করছেন। আসলে তারা পদ চায়। ট্রাস্টি বোর্ড যথা সময়ে মিটিং করে এই মিথ্যাচারের জবাব দেবে।