ভাইরাল খবর
স্বামী দিলেন স্ত্রীর বিয়ে, তাও আবার পাকিস্তানে গিয়ে!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : সঞ্জয়লীলা বানশালির সুপারহিট সিনেমা ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ এবার বাস্তবেও ঘটল। স্বামী তাঁর স্ত্রীর বিয়ে দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করলেন। কলকাতাবাসী এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিলেন এক পাকিস্তানী যুবকের সঙ্গ! ভাবছেন এটাও কোনও সিনেমার প্লট! কিন্তু না। বাস্তবেই এমনটা ঘটেছে।
শুধু তাই নয়, অভিভাবকের মতো দাঁড়িয়ে থেকে নিজের স্ত্রীর বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে এই যুবক! কলকাতা নিবাসী এই শিখ তরুণীর সঙ্গে পাকিস্তানের লাহোরবাসী ইমরানের আলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই আলাপ যে শুধু কথায় থেমে থাকেনি, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন ওই তরুণীর স্বামী। আর তা জানা মাত্রই ওই যুবক নিজে স্ত্রীকে সঙ্গে করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে তাঁর ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে বিয়ে দিলেন। যা সত্যিই অভিনব আর নজিরবিহীন ঘটনা। গত ১৭ নভেম্বর গুরু নানকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আটারি সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে যান এই যুবক ও তাঁর স্ত্রী। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকের বিয়ের ব্যবস্থা নিজেই করেন তিনি।
বিয়ের আগে ওই তরুণীকে ধর্মান্তরিতও হতে হয়েছিল। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তরুণীর নাম হয়েছে পারভিনা সুলতানা। তারপরই পারভিনার সঙ্গে মহম্মদ ইমরানের বিয়ে হয়। এই বিয়েতে তরুণীর প্রাক্তন স্বামী প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর অবশ্য নতুন বরের সাথে থাকা হয়নি পারভিনার। ভিসা সমস্যার কারণে ইমরানের পক্ষেও ভারতে আসা সম্ভব হয়নি। এখন ওই তরুণী কলকাতায় ফিরে এসেছেন এবং পাকিস্তানের ভিসার জন্য আবেদন জানিয়েছে। ভিসা হয়ে গেলেই পারভিনা ফিরবেন লাহোরে তাঁর নতুন স্বামী ইমরানের কাছে।
তবে এই ঘটনাটিকে মোটেও ভালো চোখে দেখেননি দিল্লির গুরুদুয়ার কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন সভাপতি পরমজিৎ সিং সারানা। তাঁর মতে এই ঘটনার কারণে শিখ তীর্থযাত্রীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। তাঁদের সম্প্রদায় কোথাও এতে আঘাত পেয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি। বলেছেন, পাকিস্তানে যে সকল তীর্থযাত্রী ধর্মীয় উদ্দেশ্যে যান, তাঁরা যেন সেই কাজটি করেই ফিরে আসেন। তবে এই বিবাহ সত্যিই অভিনব। সিনেমাতে এ ধরণের ঘটনা দেখা গেলেও, সেটা যে বাস্তবেও সম্ভব, তা প্রমান করে দিয়েছেন এই উদারমনস্ক যুবকটি। তাঁর মানসিকতা ও সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই।