বাংলার খবর
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের শতবর্ষ প্রাচীন আদিবাসী নৃত্য মেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেয়
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের উদ্যোগে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুমেদপুর তালগ্রাম হাটে সোমবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শতবর্ষ প্রাচীন আদিবাসী নৃত্য মেলা। হরিশ্চন্দ্রপুর সহ জেলার ১২ সাঁওতালি নৃত্যের দল এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছিল। শতবর্ষ ধরে চলছে হরিশ্চন্দ্রপুর তালগ্রাম হাট অঞ্চলে আদিবাসী নৃত্যের মেলা। এই কুমেদপুর তালগ্রাম হাটে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ দুর্গাপুজোর আয়োজন করে থাকে।
এই পুজোর অধিকাংশ ব্যয় ভারই বহন করে সদলী চক হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হলেও কুমেদপুর তালগ্রাম হাটের দুর্গাপুজো আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেন না মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরাও। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি বিজয়াদশমী থেকে শুরু হয় মেলা। আর এই মেলার প্রধান আকর্ষণ সাঁওতালি নৃত্য প্রতিযোগিতা বহুযুগ ধরেই চলে আসছে। এলাকার হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ কুমেদপুর তালগ্রাম হাটের মাঠে ভিড় জমায় এই আদিবাসী নৃত্য প্রতিযোগিতা দেখার জন্য। সোমবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কুমেদপুর তালগ্রাম হাট সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি আয়োজিত এই আদিবাসী নৃত্য প্রতিযোগিতার মেলায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকশি, আদিবাসী সেলের নেতা চুনিয়া মুর্মু, জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন, জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান সহ আরও অনেকে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার একাধিক গ্রামের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ভিড় জমিয়েছিল এই আদিবাসী নৃত্য মেলা দেখার জন্য। মেলা কমিটির আয়োজক আশরাফুল হক জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে চলা এই আদিবাসীদের নৃত্যের মেলা এলাকার ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে। এলাকার হিন্দু-মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই মেলা আয়োজন করে। হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লকের কুমেদপুরের প্রত্যন্ত এলাকার অধিকাংশ মানুষই গরীব। দুর্গাপুজোর সময় এলাকার হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুজো ও মেলার আয়োজন করে থাকে।’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকশি বলেছেন, ‘এই ঐতিহ্যবাহী মেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত ও আপ্লুত। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির সৃষ্টি করছে। যা জেলা সহ রাজ্যে উদাহরণ তৈরি করবে।’