বাংলার খবর
বিজেপি আগে জানালে দ্রৌপদীকে সমর্থনের কথা ভাবতাম, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিজেপি যদি আগে জানাতো যে তারা দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করবে, তাহলে ভাবনা চিন্তা করা যেত। কিন্তু এখন পিছিয়ে আসার কোনও জায়গা নেই। শুক্রবার ইসকনের রথযাত্রার সূচনা করতে গিয়ে এই মন্তব্যই করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মুর নাম এনডিএ জোট রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার আগেই যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দেয় বিরোধী শিবির। রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। ফোন করে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে সমর্থন চেয়েছিলেন। এরপরই শুক্রবার ইসকনের রথযাত্রার শুভ সূচনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহিলা প্রার্থী হলে আমি সব সময় রাজি। আগে দ্রৌপদীর নামই বলেনি। আগে থেকে যদি বিজেপি জানাত যে একজন আদিবাসী মহিলাকে তারা প্রার্থী করছে তা হলে আমরাও চেষ্টা করতাম। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ১৬-১৭টা দল মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম বা চেষ্টা করতাম। ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতেই পারত। তাহলে দেশের পক্ষে ভালো হত। কিন্তু বিজেপি শুধু আমাদের সাজেশনটা জানতে চেয়েছিল, ওদের সাজেশনটা জানায়নি। এপিজে আবদুল কালামের বেলাতেও আমরা সর্বসম্মতভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
কিন্তু এখন পিছিয়ে আসা যে অসম্ভব নয়, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী জোট সম্মিলিতভাবে যে সিদ্ধান্ত নেবে তিনিও তা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বৃহত্তর স্বার্থে আমি সব সময় ঐকমত্যের পক্ষে। কিন্তু আমি নিজে থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করতে পারব না। ১৭-১৮টা রাজনৈতিক দল সর্বসম্মতভাবে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই সিদ্ধান্ত থেকে সবাই না বললে আমার পক্ষে একা ফিরে আসা সম্ভব নয়।’
তবে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পালা বদলের পরে বিরোধী জোটের প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা যে নেই, তাও এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘মহারাষ্ট্রের ঘটনার পর দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। বিরোধীরা এখন যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি সেটাই মেনে চলব। আমি চাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, সুন্দরভাবে হোক। দেশের উন্নতি হোক।’
মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের এই বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘হয়তো নরেন্দ্র মোদির কাছ থেকে কোনও চাপ এসেছে। হয়তো মোদি দিদিকে বুঝিয়েছেন, এতে আপনার লাভ হবে। না হলে দিদির এই পাল্টি খাওয়ার কোনও মানে হয় না। তিনি সব জেনেশুনেই প্রার্থী দিয়েছিলেন।’