বাংলার খবর
কাঠামো পুজোর মধ্য দিয়ে শুরু হল সেন বাড়ির দুর্গাপুজো
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শতাব্দী অধিক বছরের প্রাচীন রীতি মেনে শুক্রবার কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়ে বহরমপুর সেন বাড়ির দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ল। অবিভক্ত বাংলার সাব জজ তথা কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রথম এফএ বাবু রাধাকৃষ্ণ সেনের নাবালিকা বিধবা কন্যা বিন্দু বাসিনী দেবীর উদ্যোগে ১৮৯৬ সালে সেন বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়। তার পরে থেকে প্রাচীন রীতি মেনে নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে দুর্গাপূজা হয়ে আসছে।
বর্গী আক্রমণে জর্জরিত হয়ে সেন বংশের কোনো এক বংশধর আদি নিবাস ‘চক ইসলামপুর’ ত্যাগ করে বহরমপুরে চলে আসেন। পরবর্তীকালে অধুনা বহরমপুর মিউনিসপ্যালিটির অর্ন্তগত ৩ নং গিরিজা চক্রবর্তী লেনে প্রতিষ্ঠা হয় সেন বাড়ির। বহরমপুরের খাগড়া এলাকার নতুন বাজারের “সেন বাড়ি” – যেখানে ইতিহাস, ঐতিহ্য, পরম্পরা ও সাবেকিয়ানা সব মিলে মিশে একত্রে সহাবস্থান করে। অবিভক্ত বাংলার সাব-জজ তথা বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রথম এফএ রাধাকৃষ্ণ সেন। রাধাকৃষ্ণ সেন শুধুমাত্র কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রথম এফএ নন, তিনি প্রথম ছাত্র যিনি বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজ হতে স্কলারশিপ সহ এফ.এ পাশ করেন। রাধাকৃষ্ণ সেন বাড়িতে ‘দাদাবাবু’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি।
আনুমানিক ১৮৯৬ খ্রীষ্টাব্দে সেন বাড়িতে দুর্গা পূজার সূচনা করেন রাধাকৃষ্ণ সেন। যদিও এক্ষেত্রে কান্ডারীর ভূমিকা নেন তাঁরই বাল্য বিধবা কন্যা বিন্দু বাসিনী দেবী। তবে বিন্দু বাসিনী দেবী অনেক আগে থেকেই এই বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পূজা করতেন। পরম্পরা অনুসারে সোজারথের দিন পুরোহিত ও কারিগর দ্বারা প্রতিমার কাঠামোতে গঙ্গামাটি প্রলেপনের মাধ্যমে দুর্গাপূজার শুভসুচনা হয়। প্রতিমা গড়া হয় বাড়ির ঠাকুরদালানে। সেই মত চলতি বছর রথের দিন কাঠামো বা পাটা পুজোর মধ্য দিয়ে দশভূজার আরাধনা আনুষ্ঠানিক সূচনা হল। এরপর মহালয়ার দিন হবে চক্ষুদান এবং ষষ্ঠী থেকে পুজোর সুচনা। সেনবাড়ির পুজোকে ঘিরে শহরবাসীর মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।