বাংলার খবর
লটারির নকল রেজাল্ট ছাপিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণার ছক ব্যান্ডেলে!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: লটারির টিকিটে জালিয়াতির ঘটনা হামেশাই শোনা যায়। কিন্তু লটারির রেজাল্ট শিট ছাপিয়ে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ উঠল হুগলির ব্যান্ডেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যান্ডেল স্টেশন রোডের কৈলাসনগর মোড়ে একটি লটারি দোকানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি আসেন বাইকে করে। লটারির দোকানে সন্ধ্যাবেলা ভালোই ভিড় ছিল। যখন ভিড় ফাঁকা হয় সেই ব্যক্তি দোকানে গিয়ে বলেন, তাঁর একটা প্রাইজ লেগেছে।
দোকানদার বিকাশ ঘোষ তাঁর কর্মচারী শ্যামল দাসকে মিলিয়ে দেখতে বলেন। দেখা যায় সত্যিই আড়াইশো টাকার ২৫ প্রাইজ লেগেছে। হিসাব অনুযায়ী ৬২৫০ টাকা হয়।সেই ব্যক্তি বলেন, তিনি কিছু টাকার টিকিট নেবেন। তাই টিকিটটা ভাঙিয়ে দিতে বলেন। দোকানী তাতে রাজিও হয়ে যান। প্রতারক তাঁকে ৬ হাজার ২৫০ টাকা থেকে টিকিটের দাম বাবদ ৭২০ টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকাটা তাঁকে দিয়ে দিতে বলেন।
দোকানদার বলেন, তাঁর কাছে এত টাকা নেই। ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে আনতে হবে। প্রতারককে বসিয়ে রেখে ডিস্ট্রিবিউটারের কাছে গিয়ে ওই টিকিট দেখিয়ে টাকা চাইলে ডিস্ট্রিবিউটর টিকিট মিলিয়ে দেখেন সেই টিকিটের কোনও প্রাইজ লাগেনি। তড়িঘড়ি দোকানদার দোকানে ফিরে এসে দেখেন ওই প্রতারক আর নেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন। বিকাশ ঘোষ বলেছেন, ‘আমি মোবাইলে রেজাল্ট মিলিয়ে দেখি টিকিটে কোন প্রাইজ নেই। তাহলে এই রেজাল্টের তালিকা কোথা থেকে এল! পরে বুঝতে পারি আমার রেজাল্টটা ওই প্রতারক সরিয়ে দিয়ে প্রতারক নিজের রেজাল্টটা ওখানে ঢুকিয়ে দেয়।’
দোকানদার আরও বলেন, ‘আমি ডিস্ট্রিবিউটারের ঘরে না গেলে বুঝতে পারতাম না। তখন হয়তো আমার অনেক টাকা চলে যেত।’ দোকানে লটারির রেজাল্টের যে তালিকা থাকে, নজর এড়িয়ে তা নিজের পকেটে ঢুকিয়ে নকল রেজাল্ট রেখে দিয়েছিল ওই প্রতারক। দেখে বোঝার উপায় নেই নকল আর আসল। কারণ, রেজাল্ট শিট প্রিন্ট করা। লটারি খেলার কিছুক্ষনের মধ্যেই ওয়েব সাইটে ফল প্রকাশ হয়। সেখান থেকে ডাউনলোড করে লটারি ব্যবসায়ীরা দোকানে টাঙিয়ে রাখেন। সেখানেই প্রতারণার ফাঁদ পাতে প্রতারকরা। আরও কয়েকটি জায়গায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।