চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, প্রতারককে লাইট পোস্টে বেঁধে গণপিটুনি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চাকরি দেওয়ার নাম করে আবারও প্রতারণার অভিযোগ উঠল। টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি। তাই প্রতারককে লাইট পোস্টারের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হল গণপিটুনি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে। আর এই গণপিটুনির ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাই দেখেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গল এক্সপ্রেস। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত এই যুবকের নাম সঞ্জীব গুরিয়া। অভিযোগ, নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের একাধিক এলাকা থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে যুবক-যুবতীদের পরিবারের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সঞ্জীব। সেই কারণেই গত মঙ্গলবার দুপুরে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের রানিচক হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় সঞ্জীবকে লাইটপোস্টে বেঁধে গণপিটুনি দেয় গ্রামবাসীরা। তারপর পুলিশ এসে উত্তেজিত গ্রামবাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে ওই ব্যক্তিকে থানায় আটক করে নিয়ে যায়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নন্দীগ্রামেরই বাসিন্দা সঞ্জীব যুবক-যুবতীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। টাকা দেওয়ার পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও চাকরি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ যুবক-যুবতীরা সঞ্জীবের কাছ থেকে টাকা ফেরত চায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এলাকা থেকেই চম্পট দেন সঞ্জীব। কিন্তু গত মঙ্গলবারই এলাকায় দেখতে পেয়ে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তারপরই রানিচক হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় লাইট পোস্টের সঙ্গে বেঁধে সঞ্জীবকে বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি জুতো পেটাও করেন গ্রামবাসীরা। সেই মারধরের ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
যদিও গোটা ঘটনায় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে থানায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবুও স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর এই ঘটনাকে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনীতিও। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ওই প্রতারক তৃণমূল সমর্থক। তিনি নাকি তৃণমূল নেতাদের হয়ে কাজ করেন। তাই হয়তো প্রতারিতরা টাকা ফেরত না পেয়েই ওই যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে। যদিও বিজেপির এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল পাল্টা দাবি করেছে, ওই যুবকের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে।