বাংলার খবর
অঙ্কিতার স্কুলেই চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেন মামলাকারী ববিতা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজঃ অবশেষে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেন ববিতা সরকার। মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুল ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েই চাকরি পেলেন মামলাকারী ববিতা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবারই চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন ববিতা। জানা গিয়েছে, ববিতার বেতন হতে চলেছে ৪২ হাজার ৬০০ টাকা।
উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ববিতা সরকার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট ববিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে তাঁর এতদিনের কর্মজীবনে পাওয়া সমস্ত বেতন আদালতের রেজিস্টার জেনারেলের কাছে ২ কিস্তিতে গত ৭ জুন এবং আগামী ৭ জুলাই জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। জানা গিয়েছে, অঙ্কিতা ইতিমধ্যেই সেই টাকা আদালতকে ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। আদালতও ববিতাকে সেই টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সেই সঙ্গে গত শুক্রবার আদালত ১০ দিনের মধ্যে ববিতাকে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ পর্ষদকে দিয়েছিল। তার পরই গত সোমবার নিয়োগের সুপারিশপত্র হাতে পেয়েছিলেন ববিতা। সল্টলেটে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে স্বামীর সঙ্গে এসে সুপারিশপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আদালতের নির্দেশে মতো বৃহস্পতিবার পর্ষদের পাঠানো নিয়োগপত্র হাতে পেলেন ববিতা। অঙ্কিতা এতদিন যে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, সেই ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়েই শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন ববিতা।
তবে ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ববিতা কবে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন, তা জানা যায়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া জানিয়েছেন, ‘অঙ্কিতার জায়গায় ববিতা আমাদের স্কুলে যোগ দিতে চলেছেন সেটা আমরা জানি। তবে উনি ঠিক কবে যোগ দেবেন, সেই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’
২০১৬ সালে স্কুলশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেন ববিতা সরকার। সেই পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ হয় ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর। সেই তালিকায় ববিতার নাম প্রথম ২০তে থাকলেও পরে তালিকাটি বাতিল করে দেয় এসএসসি। প্রকাশ হয় নতুন মেধা তালিকা। তাতে এক ঘর পিছিয়ে যান ববিতা। অথচ ববিতার থেকে ১৬ নম্বর কম পেয়েও মেধাতালিকার শীর্ষে ওঠে আসেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা। ফলে ববিতার নাম চলে যায় ওয়েটিং লিস্টে। ঘটনাটি জানতে পেরেই আদালতের দ্বারস্থ হন ববিতা। দীর্ঘ চার বছর ধরে লড়াই চালিয়ে অবশেষে জয়ী হলেন ববিতা।