স্বাস্থ্যসাথী, কিষাণ মান্ডি নিয়ে এফআইআর করার কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
Connect with us

বাংলার খবর

স্বাস্থ্যসাথী, কিষাণ মান্ডি নিয়ে এফআইআর করার কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Raju Dhara

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের কিষাণ মান্ডি গুলোতে কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার বর্ধমানে মাটি উৎসবে মঞ্চ থেকেই কিষাণ মান্ডি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিষাণ মান্ডি থেকে কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এলেই এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

সোমবার সোমবার পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহর লাগোয়া গোদা বালির মাঠে কিষাণ মান্ডি নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি কিষাণ মান্ডি নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। অনেক কৃষক কিষান মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে চান। সেই সময়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যদি কেউ ফিরিয়ে দেন, তাহলে আমি কৃষকদের বলছি আপনারা বিডিও-এর কাছে যান। আমি ওসি-কে নির্দেশ দেব সেটা দেখতে। যাতে কোনও কৃষককে ধান নিয়ে ফিরে আসতে হয় সেটা দেখতে হবে। যে দায়িত্ব নেবেন না তাঁর ক্ষমতায় থাকার কোনও দরকার নেই। কৃষকদের বিক্রি করা জিনিসের ওজন যেন সঠিক থাকে।’

শুধু কিষাণ মান্ডি নয়, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নিয়েও হাসপাতাল গুলোকেও কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যারা নেবে না, পুলিশকে আমি বলছি এফআইআর করতে। সঙ্গে সঙ্গে হেলথ ডিপার্টমেন্টকে জানতে হবে।’ সেইসঙ্গে রাজ্যের ছাত্রীদের বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো না করে, উচ্চশিক্ষায় মন দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করো না। মা’কে বলো এই সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। কর্মসংস্থান মেলার মধ্যে দিয়ে ৩০ হাজার চাকরি রেডি আছে। আমার এখন লক্ষ্য আছে, চাকরি রেডি আছে।’
এদিন অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিজেপির মতো নই। বিজেপি বলছে চার মাস ট্রেনিং নিয়ে চার বছর চাকরি! তা দিয়ে সারাজীবন চলবে তো? চার বছরের জন্য নয়, ওই চাকরিটা ৬০ বছরের জন্য দিতে হবে। আমরা দাবি করছি, পারলে ওটা ৬৫ বছর পর্যন্ত করে দিতে হবে।’

Advertisement

বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেছেন, ‘বিজেপির লোকেরা ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। ৬ মাস ধরে টাকা দিচ্ছে না। ১০০ দিনের টাকা দাও, নয়তো বিজেপি বিদায় নাও। বাংলার বাড়ি, বাংলার সড়কের টাকাও আটকে দিয়েছে। আমি একটা প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম। দেখি কী হয়, না হলে আমাকে দিল্লি যেতে হবে সমস্যার সমাধান করতে।’

Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.