বুলেট ট্রেন আদতে মাছরাঙা পাখির আদলেই তৈরী হয়েছে ! জানেন কিভাবে ?
Connect with us

ভাইরাল খবর

বুলেট ট্রেন আদতে মাছরাঙা পাখির আদলেই তৈরী হয়েছে ! জানেন কিভাবে ?

পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র জাপানে ১৯৬৪ সালের অক্টোবর মাসে পথ চলা শুরু হয় ‘বুলেট ট্রেন’-এর (Bullet Train)। জাপানে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের ঠিক দশ দিন আগে ‘বুলেট ট্রেন’ পরিষেবা শুরু করে দেশটির সরকার ।

Dwip Narayan Chakraborty

Published

on

Rate this post

ডিজিটল ডেস্ক – পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র জাপানে ১৯৬৪ সালের অক্টোবর মাসে পথ চলা শুরু হয় ‘বুলেট ট্রেন’-এর (Bullet Train)। জাপানে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের ঠিক দশ দিন আগে ‘বুলেট ট্রেন’ পরিষেবা শুরু করে দেশটির সরকার । ইতিহাস কে সাক্ষী রেখে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে নতুন জাপানের এক অবস্মরণীয় প্রতীক হয়ে ওঠে এই বুলেট ট্রেন। যে প্রতিকে দেখা যায় দ্রুতগতিতে মাউন্ট ফুজিকে (Mount Fuji) যাচ্ছে বুলেট ট্রেন, এই দৃশ্য নতুন জাপানের প্রতীক (New Symbol of Japan)। 

শতাব্দীর ইতিহাসে দিন যত এগিয়েছে, জাপান ততই গতি বাড়িয়েছে বুলেট ট্রেনের। তবে এটা বাস্তব যে জত গতি বৃদ্ধি পেয়েছে তার সঙ্গে তৈরী নতুন এক পর এক সমস্যা। ফের দেখা দিলো নয়া সমস্যা নাম ‘সনিক বুম’ বাংলায় যাকে বলে শব্দাঘাত।

আসলে  এই ‘সনিক বুম’ হল যখন শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে কোনও বস্তু এগিয়ে  চলে তখন সেই বস্তুর গতিবেগের ফলে যে উদ্ভূত শব্দ তরঙ্গ তৈরি হয় সেই বিস্ফোরক শব্দকেই বলা হয় সনিক বুম বা শব্দাঘাত।

Advertisement

এই শব্দাঘাত কমাতে, প্রথমে রেল পথে থাকা টানেল গুলির আয়তন বাড়িয়ে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয়, তবে তাতেও কোন ফল পান না কর্মরত ইঞ্জিনিয়াররা । দিন দিন শব্দাঘাতের পরিমাণ বাড়তে থাকায় রীতিমত চিন্তার ভাঁজ পরে জাপানের বুলেট ট্রেনের  কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারদের। ইঞ্জিনিয়াররা দেশজুরে ক্যাম্পিং করেন ছোট বড় সমস্ত ধরনের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে, মুখ্য বিষয় কিভাবে এই শব্দাঘাত বন্ধ করা সম্ভব। ইঞ্জিনিয়ারদের হাত থেকে এই দায়িত্ব যায় নাকাতসুর নামক এক পক্ষীবিশারদের কাছে। নাকাতসুর প্রথমে প্যাঁচার চলন নিয়ে বিশ্লেষণ করে যে, প্যাঁচা যে কৌশলে উড়ে তাতে কোন শব্দা ঘাত থাকে না। পরে সেই প্যাঁচার উড়ন কৌশল কে কাজে লাগিয়ে শুরু হয় শব্দাঘাত বধের কাজ, তবে একটা নিশ্চিত গতি অতিক্রম করার পর সেই একই অবস্থানে আসে বুলেট ট্রেনের শব্দা ঘাত এর ফলাফল ।

 ফের পক্ষীবিশারদ নাকাতসুর পরীক্ষা বাড়তে  থাকে, অবশেষে তার মনে প্রশ্ন জাগে, পৃথিবীর তো কোনও প্রানী  আছে যাদের চলাচল দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য বুলেটে ট্রেনের সম  রকম বায়ুচাপের পরিবর্তন সামলে চলে ? তখনই ক্ষীবিশারদ নাকাতসুর মনে পড়ে এই মাছরাঙা পাখির কথা।

King Fisher

কারন মাছরাঙা পাখি যখন তার শিকার ধরতে উপর থেকে  ওড়ার সময় থেকে জলে ঝাঁপ দেওয়ার সময় আনুমানিক ঘণ্টায় প্রায় পঁচিশ মাইল বেগে ঝাঁপ দিতে সক্ষম। তাই মাছরাঙা পাখির জলে ঝাঁপ দেওয়ার সময় জলে কোনও রকম তরঙ্গেরও সৃষ্টি হয় না যার কারণ হল মাছরাঙার সুদীর্ঘ এবং ছুঁচালো চঞ্চু যা পাখির গতিতে থাকা শব্দাঘাত কোনও তরঙ্গ তিরী করে না। যেই বলা সেই কাজ অবশেষে বুলেট ট্রেনের মুখ সর্বদা সুদীর্ঘ এবং ছুঁচালো করা হয় । 

Advertisement

আরোও পড়ুন – জেনে নিন এই খাবারগুলি থেকে বেশি ক্যালোরি পাওয়া

Dwip Narayan Chakraborty is Journalist & Entrepreneur also associated with the News television for 5 years. In the past he has worked with big media houses those are considered as pioneers. From on field reporting to live studio shows, he has covered all. He has special expertise over Indian politics & tech and Business..

Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.