বাংলার খবর
অভিষেকের ধমক খেয়েই দোমহনি বাজার পরিদর্শনে জেলা পরিষদের সভাধিপতি
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বুধবার ধূপগুড়িতে জনসভা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় যাওয়ার পথে হঠাৎই ময়নাগুড়ির দোমহনি বাজার পরিদর্শনে যান। গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে বাজারে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাজার বিক্রেতাদের সঙ্গে ও কথা বলেন তিনি। বাজারের বেহাল অবস্থা নিজে চোখে দেখেন। স্থানীয় ব্যবসায়িরাও তাঁদের অভাব, অভিযোগের কথা অকপটে জানান অভিষেককে। দোমহনি বাজারের পাকা ছাউনির কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপর সেখান থেকেই জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে ফোন করে রীতিমতো ধমক দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এবং দেড়মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। এমনকী, জানিয়ে দেন, তিনি নিজে এসে আবারও খবর নেবেন, কাজ কতটা এগোল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন, সহ সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যরা দোমহনি পুরাতন বাজার হাট পরিদর্শনে যান। সঙ্গে ছিলেন ইঞ্জিনিয়াররাও। গোটা হাট ঘুরে দেখে দেড় মাসের আগেই সমস্ত কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন।
মঙ্গলবার বাজার পরিদর্শনের পর সেখান থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মনকে। সেই সময় তিনি একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অভিষেক তাঁকে ফোনেই মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দেন। তারপর ফোনেই জেলা সভাধিপতিকে কার্যত তিরস্কার করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনার জেলা পরিষদে ময়নাগুড়ি ব্লকে দোমহনি হাট রয়েছে। আমি যাওয়ার সময় নামলাম। আপনাদের এতবার বলা হয়েছে। আপনারা হাটটা নতুন করে ঠিক করেননি কেন? ব্যবসায়ী সমিতির যারা আছেন, তারা একাধিকবার জেলা পরিষদে আবেদন করেছে, অনুরোধ করেছে, তারপরও আপনারা কোনও তৎপরতা দেখাননি কেন? মানুষের জন্য কাজ করাটা তো আমাদের একটা দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। সিপিএমের আমলে একটা কর্মতীর্থ করেছিল। সেই কর্মতীর্থের ঠিক পাশে একটা ছোট শেড মতো করে দিতে হবে। এরা কেউ এখানে মাছ বিক্রি করে, সবজি বিক্রি করে। এদের পাশে তো থাকতে হবে। এই কাজটা আপনি এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে শেষ করবেন। আমি কিন্তু আবার আসব।’
মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছ থেকে সেই ফোন পাওয়ার পরই বুধবার ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে করে নিয়ে এসে দোমহনি পুরাতন বাজার হাট পরিদর্শন করে যান জেলা পরিষদের সভাধিপতি। সেই সঙ্গে অভিষেকের কথামতো দেড় মাসের মধ্যেই বাজারে পাকা ছাউনি তৈরি করে দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে তিনি।