বাংলার খবর
মমতার প্রসাদ!সেই মুড়ি খেলেন ৫০০ কর্মী-সমর্থক
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: একুশে জুলাইয়ে মঞ্চ থেকে জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে হঠাৎই কর্মী-সমর্থকদের থেকে মুড়ি চেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মুড়ি একটি ট্রে ঢেলে এবং হাতে নিয়েই কেন্দ্রকে তোপ দাগেন নেত্রী। তা পরে আবার পুলিশ মারফত ফিরিয়েও দেন।
কিন্তু জলখাবারের জন্য গ্রাম থেকে নিয়ে আসা মুড়ি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে তুলে নেবেন, তা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও নিরঞ্জন পাল।
সভা শেষে দু’জনেই জানিয়েছিলেন, দলনেত্রীর হাতের ছোঁয়ায় জিএসটি-এর বিরুদ্ধে হাতিয়ার হয়ে ওঠা সেই মুড়ি তাঁরা গ্রামে নিয়ে যাবেন। কথা মতো সেই মুড়ি তাঁরা গ্রামে ফেরতও নিয়ে যান। তবে সেই মুড়ি তাঁরা দু’জনে খাননি। দলনেত্রীর ‘প্রসাদ’ মুড়ি গ্রামের ৫০০ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক মিলে ভাগ করে খেলেন!
জানা গিয়েছে, শুক্রবার আউসগ্রামের তেতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেওয়া সেই মুড়ি সকলের মধ্যে বিতরণ করার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই মুড়ি খেতে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রায় ৫০০ সমর্থক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেওয়া সেই মুড়ি তাঁর প্রসাদ হিসেবেই দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। তবে শুধু মুড়ি নয়, তার সঙ্গে দেওয়া হয় আলুর দমও। মুড়ির মালিক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা কলকাতা থেকে এই মুড়ি দলনেত্রীর প্রসাদ হিসেবেই গ্রামে নিয়ে এসেছিলাম। তা প্রসাদ হিসেবেই গ্রহণ করেছেন সকলে।’
মুখ্যমন্ত্রীর হাতের স্পর্শ পাওয়া সেই মুড়ি খেতে উপস্থিত হওয়া এক তৃণমূল সমর্থক জানিয়েছেন, ‘আমাদের সকলের প্রিয় দিদি এই মুড়ি নিজের হাতে স্পর্শ করেছেন। আমরা সেই মুড়ি দিদির প্রসাদ হিসেবেই গ্রহণ করেছি। দিদির হাতের ছোঁয়া লাগা মুড়ি আমরা খাচ্ছি, এটা আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। দেশের সরকার মুড়ির উপরেও জিএসটি বসিয়েছে। আমরা তার তীব্র বিরোধিতা করছি। দিদির নির্দেশ পেলেই আমরা রাস্তায় নেমেও এর প্রতিবাদ করব।’ আর এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘আমাদের দলনেত্রী আমাদের কাছে দেবীর মতো। তাই তাঁর হাতির ছোঁয়া মুড়ি আমাদের কাছে প্রসাদের মতোই।’