বিদেশের খবর
গ্যাংস্টার থেকে সুপার মডেলও অ্যাক্টর হয়ে উঠলেন এই ব্যক্তি!
ওই পরিবারের সঙ্গে বড় হতে হতে জেরেমির কাছে এই আইন ভাঙ্গা বিষয়গুলো স্বাভাবিক লাগতে শুরু হয়। সে মনে করত এই আইন ভাঙ্গা বিষয়টি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস: জেরেমি ম্যাক্স ( Jeremy meeks) কে তো আপনারা প্রায় অনেকেই চেনেন। চিনবেন নাই বা কেন সুপার মডেল যে তিনি এখন। কিন্তু আপনি কি জানেন এই মডেল হওয়ার আগে তিনি ছিলেন জেলে। আর জেল থেকেই শুরু হয় তার মডেলিং জীবন। হ্যাঁ অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
জেরিমে ছিল এক গ্যাংস্টারের মেম্বার। সে কখনো ভাবেনি যে কোনদিন সে আমেরিকার টপ মডেলদের মধ্যে একজন হবেন। জেরিমি ইউএসএর ওয়াশিংটনে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার পরিবার ছিল অনেকটা তার পরিবারের বাবা-মা ভাই এবং সবাই ছিল কোন না কোন অপরাধের মধ্যে লিপ্ত। আর বাবার তেত্রিশ বছরের জেল হয়েছিল এছাড়াও তার মা বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজের সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন। এবং তার ভাই বোনেরাও ছিল সেই রকমই চুরি ডাকাতি তারপর বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করা প্রভৃতির সব ধরনের অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত ছিল তার পরিবার। মোট কথা হচ্ছে এই যে যেড়েমি যে পরিবারে জন্ম নিয়েছে সেখানে ভালো হয়ে চলবার কোন সুযোগই ছিল না।
এবং ওই পরিবারের সঙ্গে বড় হতে হতে জেরেমির কাছে এই আইন ভাঙ্গা বিষয়গুলো স্বাভাবিক লাগতে শুরু হয়। সে মনে করত এই আইন ভাঙ্গা বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু জেরিমি ছিল একটু ডানপিটে স্বভাবে মাত্র ১৫ বছর বয়সে এসে ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে রাস্তা থাকা শুরু করে। যখন তিনি সিক্স গ্রেডে পড়তেন তখন তিনি ওয়াশিংটন ডিসি ছেড়ে লস এঞ্জেল এসে এসে থাকা শুরু করেন এবং সেখানেই তিনি একটু বড়সড়ো গাঙের মধ্যে যুক্ত হন। ২০০২ সালে একটি 16 বছরের ছেলেকে মারধর করার জন্য তার জেল হয়। আর সেই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। তার জীবনের অর্ধেক যৌবন তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন তিনি মোট সাড়ে ১০ বছর ধরে জেলে ছিলেন। সাড়ে দশ বছর পর জেল থেকে মুক্তি হওয়ার পর তিনি আবারও সেই অনৈতিক কাজের দিকে ঝুকে পড়েন এবং লাইসেন্স ছাড়া অস্ত্র রাখার জন্য তাকে আবার ২০১৪ সালে জেলে তোলা হয়।
আরও পড়ুন-সমকামী যৌনতার লিপ্ত হওয়ার কারণে বাতিল করা হলো ব্রিটিশ রক ব্যান্ড!
কিন্তু এইবার তার জীবন পুরোটাই বদলে যায়। কিন্তু সেখানে তার লাইফ পরিবর্তন হওয়ার মূল কারণটি হলো যে, আমেরিকার পুলিশ জেরিমি ও জেরিমি জ্ঞানীদের ধরার পর তাদের ছবি একটি লোকাল কোন সাইডে পোস্ট করে দেয় যাতে সাধারণ মানুষ জন তাদেরকে দেখে চিনে নিতে পারে যে তারা অপরাধী। কিন্তু জেরিমির ছবি পোস্ট হতে না হতেই শুরু হয় হিতের বিপরীত। জেরেমির সার্ফ যলাইন ও নীল চোখ দেখে সবাই তাকে অসম্ভব পছন্দ করতে থাকে। ওয়েবসাইটে ছবি পোস্ট করার এক রাতের মধ্যে ৭৫ হাজারেরও বেশি লাইক এবং ২০ হাজারেরও বেশি কমেন্ট করে ওই ছবিতে। আমেরিকান পুলিশরা স্বীকার করেন যে 2012 তে ফেসবুক পেজ খোলার পর একমাত্র জেরি এর ছবিতেই এত লাইক ও কমেন্ট হয়েছিল। এমনকি জেরেমির ছবির জন্য তার ফ্যানেরা হ্যাশটেক অব দ্য ইউজ করেছিল।
আর এইসব কাহিনীর পরেই তার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। মেগা পপুলারিটি গেইন করে সে। তাকে নিয়ে সংবাদ তৈরি করা হয় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। এমনকি ফেমাস ম্যাগাজিনে ও তার ছবি ছাপা হয়। আর জেরিমির ফ্যান রা তার নাম দেয় হট ফেলুন। এমনকি কোর্টের জাজ অব্দি তাকে হট মডেল হিসেবে চিনেছিলেন। আর এই সব কারণে তার 63 মাসের জেলের ঘানি কম করে নিয়ে আসা হয় 27 মাসে। আর প্রতিদিন প্রায় ৩০০ এর উপরে বেশি মেয়েরা তাকে চিঠি পাঠাতো বলে জানা গিয়েছে। এমনকি কিছু কিছু মেয়ে তো তাকে টাকাও পাঠাতো যাতে তার কোন সমস্যা না হয় সেখানে থাকতে। তারপর বিভিন্ন বিভিন্ন টপ মডেল এজেন্সি গুলো তার সাথে কন্ট্রাক্ট করা শুরু করে দেয় আর এভাবেই বদলে যায় তার জীবনের মূল