বিদেশের খবর
নিজের থেকে তিনগুণ বয়সের বড়ো শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
তবে আজকে এমন একজন বিখ্যাত মানুষের এই প্রেম কাহিনী শোনাব যিনি এই অদ্ভুত কাজটাই সাধন করেছিলেন এবং তার কাহিনীটাও ছিলো রোমাঞ্চক

বেঙ্গল এক্সপ্রেসঃ টিনেজ লাইফের টিচারের প্রতি ক্রাশ খাওয়া তো একদমই নরমাল ব্যাপার। কিন্তু টিচারের উপর ক্রাশ খেয়ে তার সঙ্গে রিলেশনশিপ করা এবং টিচারকে বিয়ে করা এটা একটু অদ্ভুত। তবে আজকে এমন একজন বিখ্যাত মানুষের এই প্রেম কাহিনী শোনাব যিনি এই অদ্ভুত কাজটাই সাধন করেছিলেন এবং তার কাহিনীটা রহিম রুপবানের কাহিনী কেও হার মানাবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন এর বয়স যখন ষোল বছর তখন তার সঙ্গে দেখা হয় 39 বছর বয়সী ব্রিজিত এর(Brigitte Macrone) সঙ্গে। ব্রিজিত ছিলেন ইমানুয়েল ম্যাক্রন এর স্কুলে ড্রামা টিচার। তার ডিরেকশনে স্কুলে একটি নাটকে অভিনয় করেছিল ইমানুয়েল ম্যাক্রন। এবং ম্যাক্রো ব্রিজের দিকে দেখেই প্রেমে পড়ে যায় ইমানুয়েল ম্যাক্রন । তখন ইমানুয়েল চিন্তা করতে থাকে কিভাবে ড্রামা শেষ করেও তার কাছাকাছি থাকা যায়। এজন্য ড্রামা ক্লাস শেষ হওয়ার পরও ব্রিজিত এর কাছ থেকে ড্রামা শেখার জন্য সে এক্সট্রা ক্লাস করতে থাকে।
সে সময় ম্যাক্রন ছিল অন্যদের থেকে আলাদা। অনেক মেধাবী, অনেক পরিশ্রমী ছিল। আর তার ড্রামার প্রতি ছিল অনেক ঝোঁক। ম্যাক্রন এর ইচ্ছা ছিল সে ড্রামা নিয়েই সামনে এগিয়ে যাবে। ওপরদিকে ব্রিজিত ছিল একদম সাধারন।তিনি এক্তি ব্যাঙ্কে জব করে এমন এক্তা লোককে বিয়ে করেছিলেন, এমনকি তার তিনটা সন্তান ও ছিল। এক কথায় বল চলে সুখি পরিবার। এমনকি ব্রিজিত এর বর মেয়ে যে ছিল সেই ছিল ইমানুয়েল ম্যাক্রন এর বয়সী। এমনকি ব্রিজিতের মেয়ে এবং ম্যাক্রন একই ক্লাসে পড়তো । তারপর একপর্যায়ে এসে ম্যাক্রন তার ভাললাগার কথা ব্রিজিত কে জানিয়ে দেয়। আর এই কথা শুনে ব্রিজিত হেসে উরিয় দেয় এবং বলে তোমারএখন টিনেজ এইশবকিছু সাভাবিক। ব্রিজিত আরও বলেন যে, এইশব ফিলিংস আশবে আবার চলেও যাবে। কিন্তু ম্যাক্রন ছিল নাছোড়বান্দা সে তাকে অ্যাপ্রচ করতেই থাকে তো করতেই থাকে। একটা সময় ম্যেক্রনের ব্রিজিতির ওপর পাগলামি দেখে ব্রিজিতিও কেমন যেন দুর্বল হয়ে পরতে থাকে। একজনের প্রতি অন্যজনের ভালোবাসা দেখে আশেপাশের অনেকেরই না এ ব্যাপারে একটু সন্দেহ হয় কানাঘুষা হতে থাকে। কারন ব্যেপারটা মোটেও সাধারণ বিশয় ছিল না। এম্নিতেই ত ম্যেক্রনের চেয়ে অনেক বড় তার ওপর ব্রিজিতি ছিল বিবাহিত।
আরও পড়ুন-বিখ্যাত কোরিয়ান অ্যাক্টর লি মীন হু প্রাণ হারাতে গিয়ে হয়ে উঠলেন সুপারস্টার
তখন অবশ্য অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো ম্যেক্রন ব্রিজিতির বড় মেয়েকে পছন্দ করে। কিন্তু সত্য কখনও চাপা থাকে না একসময় বেরিয়ে আসে যে ব্রিজিতির মেয়ে না বরং ব্রিজিতির সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছে ম্যেক্রন। সবাই তখন এটা অনেক বাজে চোখে দ্যাখে ব্রিজিতি কে সবাই কটূকথা শোনাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বিবাহিত হয়ে নিজের মেয়ের বয়সী ছেলের সঙ্গে রিলেশনশিপ। ২৪ বছরের এই রিলেশনশীপ কেউ মেনে নিতে পারছিল না। এ সময় ম্যেক্রনের ফ্যামিলি অনেক চেষ্টা করেন তাকে এই সম্পর্ক থেকে বের করে আনার কিন্তু তারা পারেননি। তারপর কন কিছুতেই কিছু না করতে পেরে ম্যেক্রনের বাবা ব্রিজিতিকে সর্ত দেন যে, যতদিন না ম্যেক্রন ১৮ বছরের হচ্ছে আর তার হাই স্কুলের পরা কমপ্লিট না করছে ততদিন অব্দি তারা আর একে অপরের সঙ্গে কথা বলবেন না।
হায়ার স্টাডিজ ক্রবার জন্য ম্যেক্রন নিজ শহর ছেড়ে চলে যায় তবে নিজের শহর ছেরে যাবার আগে ব্রিজিতি কে সে বলে যায়, ব্রিজিতি যাই করুক না কেন ম্যেক্রন ব্রিজিতিকেই বিয়ে করবে। দূরে চলে গেলেও তাদের মধ্যে কিন্তু কখনো কথা বলা বন্ধ হয়নি। এইদিকে ম্যেক্রনের ফ্যামিলি মেম্বার মনে করেছিলে যে, বোধহয় এবার সোজা পথে এশেছে ম্যাক্রন। স্টাডি শেষ হওয়ার পর তিনি যখন ব্রিজিতি কে বিয়ে করবার কথা বলেন তখন ব্রিজিতি ম্যেক্রন কে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ম্যেক্রন কে বোঝানো ইম্পসিবল দেখে ব্রিজিতি একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। ম্যেক্রনের ভালোবাসার কাছে ব্রিজিতি তার সংসার জীবন ত্যাগ করে 2006 সালে তার হাজবেন্ডকে ডিভোর্স দেয় এবং 2007 সালে ম্যেক্রন কে বিয়ে করে। পরিচয় হবার 14 বছর পর বিয়ে করেছিল তারা।