বিদেশের খবর
বিখ্যাত কোরিয়ান অ্যাক্টর লি মীন হু প্রাণ হারাতে গিয়ে হয়ে উঠলেন সুপারস্টার
এই সাউথ কোরিয়ান এক্টর এর লাভ লাইফের জন্য বলিউডের রানবির কাপুরের সঙ্গে তাকে তুলনা করা হয়

বেঙ্গল এক্সপ্রেস: লি মীন হু (Lee min Hoo) যে হল প্রিন্স চার্মিং মোস্ট হ্যান্ডসাম নায়ক সাউথ কোরিয়ার। যারা কোরিয়ান ড্রামা দেখতে ভালোবাসেন তারা লি মীন হু এর প্রেমে পড়েননি এমন খুব কমই রয়েছেন। এই সাউথ কোরিয়ান এক্টর এর লাভ লাইফের জন্য বলিউডের রানবির কাপুরের সঙ্গে তাকে তুলনা করা হয়।
তবে এই লি মীন হু ক্যারিয়ারের প্রথম দিকেই এক বিরাট কার এক্সিডেন্ট করেছিলেন। যার কারণে তার প্রাণ বাঁচানো হয়েছিল অনেক কষ্টকর। কিন্তু তিনি সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সেইসব জায়গা থেকে বের হয়ে এসে সাউথ কোরিয়ার মোস্ট অফ দা ওয়ান অ্যাক্টর হয়েছেন তিনি।
লি মীন হু এর জন্ম ১৯৮৭ সালে। তিনি এক্টরের পাশাপাশি একজন ভালো সিঙ্গার, ডান্সার, ডিরেক্টর ও মডেল। লি মীন হু হাই স্কুলে পড়ার সময় অনেক লম্বা এবং রোগা পাতলা ছিলেন যার কারণে সবাই তাকে কঙ্কাল নাম উপাধি দিয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকেই লি মীন হু পড়াশুনায় তেমন মনোযোগী ছিলেন না। কিন্তু তার এই কিউট এবং হ্যান্ডসাম লুকিং এর জন্য সে ছিল বেশ পপুলার। তবে তার ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল যে, তিনি একজন প্রফেশনাল ফুটবলার হবেন। আর এই জন্য তিনি প্রফেশনাল কোচের কাছ থেকে ট্রেনিংও নিয়েছিলেন। তবে ফিফত গ্রেডে পড়ার সময় তার এক বিশেষ বিশেষ ইনজুরি হয় যার কারণে তার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন একেবারে ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। এরপর আর ফুটবলার হয়ে ওঠা হয়নি তার।
কিন্তু হাই স্কুলে পড়ার সময় লি মীন হু এর মাথায় মডেলিং এবং অ্যাক্টরের ভুত চেপে বসে। আর এই সবার জন্য তাকে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোরিয়ানের বেশ কিছু ম্যাগাজিনে মডেলিং এর ডাক পেয়ে যান তিনি। মডেলিং এর ফটোশুটের সময় সে চোখে পড়ে স্টার হাউজের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। তারপর আর পিছন দিকে তাকিয়ে দেখতে হয়নি লি মীন হু কে। লি মীন হু তিনিও কন্ট্রাক্ট সাইন করে নেন। ২০০৫ সালে স্টার হাউজের সঙ্গে কন্ট্রাক্ট সারেন তিনি আর ২০০৬ সালেই সিক্রেট ক্যাম্পাস সিরিয়াল দিয়ে তার কেরিয়ার শুরু করে। তারপর বেশ কয়েকটি সিরিয়াল এই তিনি অভিনয় করেছেন যার কারণে তিনি কোরিয়ান এক্টর হিসেবে বেশ নাম কামিয়েছেন। এছাড়াও তিনি চাইনিজ মুভি “বুনটি হান্টার্স” ও করেছেন যার কারণে তাকে হাইলো স্টার নামে আখ্যা দেয়া হয়েছে। হাইলু স্টার বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে যে, হইলু ষ্টার হল তারা যারা কোরিয়ান কে বিভিন্ন দেশে রিপ্রেজেন্ট করে তাদেরকেই হাইলু স্টার বলা হয়। ২০১৭ সালে তাকে মিলিটারি থেকে ডাকা হয়।
আরও পড়ুন- অনন্যা পান্ডের সঙ্গে সম্পর্কে আসার আগে আদিত্য রায় কাপুরের কতগুলো গার্লফ্রেন্ড ছিল! আপনি কি জানেন?
২০০৬ সালে তার গাড়ি দুর্ঘটনার কারণে একটিভ সোলজার হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল তাকে।লি মীন হু এর কিউট ফেস এবং হ্যান্ডসামের কারণে তার ভক্তদের সংখ্যা আরো বাড়িয়ে তুলেছে এছাড়াও লি মীন হু সাউথ কোরিয়ার এমন একজন এক্টর যার ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক দুই জায়গাতেই টোয়েন্টি মিলিয়নের উপরে ফলোয়ার্স রয়েছে। আর সেই কারণেই তাকে বলা হয় কিং অফ সোশ্যাল মিডিয়া। ২০০৬ সালে চার বন্ধু মিলে তারা গ্যাংডাম শহরে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় রাস্তায় অপরদিক থেকে আসা ট্রাক তাদের গাড়িটাকে ধাক্কা মারে। এবং সে ধাক্কার কারণে সামনে বসা দুইজন বন্ধু সঙ্গে সঙ্গে না ফেরার দেশে চলে গেল পিছনে থাকা লি মিন হু এবং আরেকটি ফেমাস এক্টর বেঁচে যান এবং লি মীন হু প্রায় এক মাসের জন্য কমায় চলে যান। কমা থেকে বের হওয়ার পরও তাকে এক মাস বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়েছে কারণ এক্সিডেন্টের কারণে তার পাঁজরের হাড় এবং গোড়ালের হাড়ো এবং আরও বেশ কয়েকটি হার একদম ভেঙে যায়। এত বড় দুর্ঘটনা থেকেও বের হয়ে তিনি পুরো বিশ্বকে জয় করেছেন।