খেলা-ধূলা
স্বামীকে ছেড়ে কার সঙ্গে সম্পর্ক মাধুরী দীক্ষিত? সব ছেড়ে দিতেও রাজি সেই প্রেমিকের জন্য

বেঙ্গল এক্সপ্রেসঃ ভারতীয় ক্রিকেটারদের সাথে বলিউডের নায়িকাদের যেন এক অন্যরকম সম্পর্ক। ক্রিকেটারদের সাথে বলিউডে তারকাদের বেশি প্রেমের সম্পর্ক দেখা যায়। খুব কম ইন্ডিয়ান ক্রিকেটের রয়েছে যারা বলিউড ছাড়া অন্য মেয়েদের বিয়ে করেছে বা প্রেম করেছে।
বেশি দূরে না, আমরা যদি কয়েক বছর পিছিয়ে যাই, তাহলেই দেখতে পাই যে, মনসুর আলী খানের সাথে শর্মিলা ঠাকুরের বিয়ে হয়েছে। আবার সঙ্গীতা বিজলানির সাথে আজাহারউদ্দিনের জুটি রয়েছে। তারপর যদি কয়েক বছর আগে আসি আমরা তাহলে দেখতে পাই যে বিরাট কোহলির সাথে অনুষ্কা শর্মার বিয়ে হয়েছে। কিছুদিন আগে তো সুনীল শেট্টির মেয়ে আথিয়া সেট্টির বিয়ে হয়েছে ক্রিকেটার রাহুলের সাথে। বিয়ের সম্পর্ক অবধি না গড়ালেও বলিউডে এমন অনেক তারকা রয়েছে, যারা ক্রিকেটারদের ওপর ক্রাশ খেয়েছে। সেই দলের মধ্যে মাধুরী দীক্ষিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন-পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিতে চলেছে পবিত্র রমজান মাসের উপহার! দেখে নিন আপনি পাবেন কিনা?
ঘটনাটা একটু পুরনো হলেও মাধুরী দীক্ষিত জানান যে ,স্মৃতিটা বেশ স্বতেজ। 80’s থেকে 90’s এর এর সময় মাধুরী দীক্ষিত সারা ভারতবর্ষের পুরুষদের ড্রিম গার্ল ছিলেন। পুরনো কথা বাদ দিন না এখনকার ছেলেদের মনেও মাধুরী দীক্ষিত বাস করে। সেই সময় সবাই তার প্রেমে হাবুডুবু খেলো তিনি তার মন দিয়েছিলেন এক ক্রিকেটারকে। তিনি যাকে মন দিয়েছিলেন, তাকে আমরা প্রায় সবাই চিনি, তিনি হলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক অজয় জাদেজা। পুরনো সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে যে, অজয় জাদেজা ও মাধুরী দীক্ষিত এক বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে পরিচয় হন তারা। আর কথা আছে না “পেহেলি নাজার মে পেয়ার” ঠিক এমনটাই হয়েছিল মাধুরী ও অজয়ের সাথে। প্রথম থেকেই মাধুরীর সাথে একটি মিষ্টি মিষ্টি বন্ধুত্ব শুরু হয় অজয় জাদেজার।
আর সেই বন্ধুত্ব থেকেই প্রেমে রূপান্তরিত হতে বেশি সময় নেয়নি। ক্রিকেটার অজয় যখন অভিনয় জগতে আসতে চাইলে মাধুরী দীক্ষিত নিজে তার হয়ে সুপারিশ করেছিলেন। জানিয়ে রাখি যে, রঞ্জি ট্রফি টুর্নামেন্ট যেটা দেশের অন্তরে চলে, সেটা কিন্তু প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক অজয় জাদেজার বাবার ঠাকুরদা রাজা রঞ্জিত সিং এর নামেই হয়ে থাকে। এ যেন তারকা পরিবারের ছেলে যে নিজে একজন বিখ্যাত ক্রিকেটার, একটি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মাধুরীর সঙ্গে মেলামেশাটা ভালো চোখে নিতে পারেননি অজয় জাদেজার পরিবার। নিজেদের স্ট্যাটাস যাতে নেমে না যায় সেজন্য প্রথম থেকেই অমত ছিল তাদের এই সম্পর্কে। আর ভাগ্যের কি পরিহাস দেখুন সেই সময় ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে অজয় জাদেজা ফেঁসে যান।
১৯৯৯ সালে পুরা ভারতবর্ষে ওই ঘটনাটা নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। সাধারণ নাগরিক এক প্রকার ক্ষেপেই উঠেছিল অজয় জাদেজের উপরে। আর তারপরেই পাঁচ বছরের জন্য নামিয়ে দেওয়া হয় তাকে ক্রিকেট বোর্ড থেকে বলা চলে ব্যান করে দেওয়া হয়। তারপর মামলা চলাকালীন চার বছর পর দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে ব্র্যান্ড তুলে দিল অজয় যাদের যার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছিল।
তার কিছুদিন পরেই মাধুরীর হঠাৎ করে পরিচয় হয় এন আর আই চিকিৎসক ডক্টর শ্রীরাম নেনের সঙ্গে। তারপর ধীরে ধীরে প্রেম এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ে হওয়ার পরে ই তিনি দেশ চড়ে স্বামীর সঙ্গে চলে যান। তারপর মাধুরী দীক্ষিতের দুই ছেলে হয় এবং বেশ কয়েক বছর পর তিনি আবার বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরে আসেন। এখন মাধুরী দীক্ষিত দুই পুত্র ও স্বামী নিয়ে বেশ সুখে সংসার করছেন।