বাংলার খবর
“সুতপার মা-বাবা মানসিক হেনস্থা করেছে, তাই খুন করেছি” স্পষ্ট জবাব সুশান্তের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: “সুতপার মা-বাবা আমাকে মানসিকভাবে বিদ্ধস্ত করে দিয়েছিল। তাই আমি ওকে মেরেছি। আদালত আমাকে যে শাস্তি দেবে আমি মাথা পেতে নেব।” শনিবার বিকেলে আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে সংশোধনাগারে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমকে এই কথায় জানায় সুশান্ত চৌধুরি। বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী খুনে ধৃত সুশান্ত চৌধুরীকে বহরমপুরে মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারপতি সুমনা সাহারায়ের এজলাসে তোলা হলে বিচারপতি দুই দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৬মে সুশান্তকে আদালতে তোলা হবে। এদিন সুশান্তের হয়ে সওয়াল-জবাব করেন মুর্শিদাবাদ জেলা লিগ্যাল সেলের আইনজীবী অলকেশ পাল। তিনি এদিন সুশান্তের জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারপতি তাঁর আবেদন খারিজ করে দুই দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গত ২ মে, সোমবার ভরসন্ধ্যায় বহরমপুরে গোরাবাজার সূর্যসেন রোডে সুইমিং পুলের গলিতে মেসের সামনে খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। খুনের তিন ঘন্টার মধ্যে সামসেরগঞ্জ থেকে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে পুলিস গ্রেফতার করে। পরের দিন মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে বিচারক সুশান্তকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপরে সুশান্তকে নিয়ে পুলিশ ঘটনার পুনর্নিমাণ করে। গত ১২মে সুশান্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক দুই দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওইদিনই সুশান্তকে নিয়ে পুলিশ সোজা মালদহ রওনা দেয় এবং তদন্তে উঠে আসা তথ্যগুলি যাচাই করে। দুই দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে শনিবার আবার আদালতে তোলা হয়। এদিনও সুশান্ত ভাবলেশহীন ছিলেন।