লাইফ স্টাইল
দুটা মাত্র ঘর, ব্যাবহার করেন না মোবাইল চিনতে পাচ্ছেন রতন টাটার এই ভাই কে ?
ভারতের নামী সংস্থা গুলির মধ্যে টাটা গ্রূপ বলতেই বর্তমানে যে ব্যক্তির কথা মাথায় আসে তিনি হলেন রতন টাটা। তিনি বিশ্বের অন্যতম শিল্পপতিদের মধ্যে একজন।
ডিজিটাল ডেস্ক – ভারতের নামী সংস্থা গুলির মধ্যে টাটা গ্রূপ বলতেই বর্তমানে যে ব্যক্তির কথা মাথায় আসে তিনি হলেন রতন টাটা ( Ratan Tata)। তিনি বিশ্বের অন্যতম শিল্পপতিদের মধ্যে একজন। তিনি বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রায়ই থাকেন খবরের শিরোনামে। সম্প্রতি রতন টাটার ( Ratan Tata) জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার ২৮ বছর বয়সী সঙ্গী শান্তনু নাইডুর (Shantanu Naidu) সাথে অনাড়ম্বর ভাবে কেক কাটার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সকলেই তাকে শুভকামনা জানান এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তবে, রতন টাটাকে সকলে চিনলেও তার ছোট ভাই জিমি টাটাকে চিনতে পারেনি অনেকেই!
টাটা কোম্পানির অন্যতম শেয়ারহোল্ডার জিমি সবসময়ই থাকেন প্রচারের আড়ালে। ভারতের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকার পরও তার অনাড়ম্বর জীবনযাপন চমকে দিয়েছে সকলকেই! জিমি টাটা মুম্বাইয়ের কোলাবায় দুই রুমের একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকেন। তিনি নিজেকে সংবাদমাধ্যম থেকে অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছেন। সম্প্রতি শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা টুইট করে রতন টাটার ভাই জিমি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সামনে আনেন। টুইটের মাধ্যমে হর্ষ জানান যে, “আপনি কি রতন টাটার ছোট ভাই জিমি টাটা সম্পর্কে জানেন? যিনি মুম্বাইয়ের কোলাবায় একটি দুটি বেডরুমের ফ্ল্যাটে বর্তমান জীবন কাটাচ্ছেন। তিনি ব্যবসায় আগ্রহী নন। ”
উল্লেখ্য, জিমি টাটা হলেন রতন টাটার ছোট ভাই আর নোয়েল টাটা তার সৎ ভাই। নব্বইয়ের দশকে অবসর নেওয়ার আগে, জিমি টাটা (Jimmy Naval Tata), টাটা গ্রুপের বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে কাজ করেছিলেন। পাশাপাশি, তাকে টাটা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার এবং স্যার রতন টাটা ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তথ্য অনুযায়ী, জিমি নিজের কাছে মোবাইলও রাখেন না। কিন্তু যে মানুষের কাছে নিজের কোনও মোবাইল ফোন নেই– তিনি বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগায্যগ রাখেন কি ভাবে? উত্তর হল খবরের কাগজ। একমাত্র খবরের কাগজের মাধ্যমেই বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তিনি। রতনের মত জিমিও (Jimmy Naval Tata) বিবাহ করেননি।
আরো জানা গেছে, খেলাধুলোতে প্রচন্ড আগ্রহ রয়েছে জিমি টাটার (Jimmy Naval Tata)। হর্ষ গোয়েঙ্কা (Harsh Goenka) টুইটে লিখেছেন, “দুর্দান্ত স্কোয়াশ প্লেয়ার তিনি। আমাকে প্রতিবার হারিয়ে দিতেন”। টাটা গোষ্ঠীর সাধারন ভাবে জীবন যাপন পথ চলার ভাবনার কথা সকলেরই জানা। টাটা পরিবারের অন্দর থেকেই এর সূত্রপাত। তবে কি এই কারণেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েও একজন অতি সাধারণ মধ্যবিত্তের জীবনযাপনকে বেছে নিয়েছেন জিমি টাটা (Jimmy Naval Tata)। হয়তো নিজের জীবনটা মাটির কাছাকাছি রাখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন জিমি টাটা (Jimmy Naval Tata)।
বলা যায়, এই ৮১ বছর বয়সে এসে জিমি টাটা (Jimmy Naval Tata) একেবারে ইন্টারনেটে সারা ফেলে দিয়েছেন। টাটা গ্রূপের (TATA groups Company) অন্যতম দাবিদার হওয়া সত্বেও জিমির (Jimmy Naval Tata) এমন অনাড়ম্বর জীবন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি, হর্ষ গোয়েঙ্কাকে (Harsh Goenka) টুইটের মাধ্যমে জিমি টাটার ব্যাপারে জানানোর জন্য ধন্যবাদও জানান তারা।
News Source – Indian News Distribution Trust