‘আপনি এখন ঘুমাতে পারেন…’ কোয়াডের মঞ্চে আলবিনেজকে বার্তা বাইডেনের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: যে কোনও দেশের নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বা প্রেসিডেন্টকে ‘স্বাগতম’ বলে অভিনন্দন জানানোই প্রচলিত রীতি। কিন্তু কোয়াড সামিটে উপস্থিত হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অ্যান্থনি আলবিনেজকে ‘শুভ রাত্রি'(Good Night) বলে সম্ভাষন জানিয়েছেন।

কোয়াডের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠকে হঠাৎ বাইডেন কেন Good Night জানালেন অ্যান্থনি আলবিনেজকে? এই বিষয়ে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরই ওয়াশিংটন, দক্ষিণ কোরিয়া ঘুরে এশিয়া সফরে অর্থাৎ জাপান এসেছেন তিনি। দীর্ঘ এই বিমান যাত্রায় তিনি হয়তো ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তাই এদিন কোয়াডের শীর্ষ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে অ্যান্থনি আলবিনেজকে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

চলতি বছরের কোয়াড সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাপানের টোকিও শহরে। ২ দিনের এই সম্মেলনে ভারত ছাড়া অংশগ্রহণ করেছে আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কোয়াডের মঞ্চ থেকে অস্ট্রেলিয়ার নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবিনেজকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ”অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের জন্য কোয়াড সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কোয়াডে যোগ দেওয়ার আগে আপনি আরও দু’টি দেশে সফর করেছেন। জানি না আপনি কিভাবে এতটা পরিশ্রম করছেন। আপনার এখন বিশ্রামের প্রয়োজন। আপনি একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন।”

আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে কোয়াডের মঞ্চ থেকে বড় ঘোষণা মোদির

প্রসঙ্গত, এদিন কোয়াড সামিটে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ”পারস্পারিক বিশ্বাস, বন্ধুত্ব এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত মজবুত হলেই শান্তি বজায় থাকবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে। এই জন্য কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত চার দেশের জোট তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেবে।”

আরও পড়ুন: করোনা কালে অবদানের জন্য দেশের আশাকর্মীদের বিশেষ সম্মান হু’র

তিনি বলেন, ”এই কোয়াড বৈঠক অল্প সময়ের মধ্যেই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী ভ্যাক্সিন বিতরণ, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের মতোন পরিস্থিতিতে আমরা একে অপরের হাত ধরে রেখেছি। যা আমাদের ঐক্যকে জোটবদ্ধ হতে আরও সাহায্য করেছে।” এছাড়াও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে বাণিজ্যের প্রসারেও সাহায্য করবে।