দেশের খবর
ভুল করে মন্তব্য করে ছিলেন, টাকা ফেরত দেবেন না বিহারের আদর্শ অধ্যাপক!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ৩৩ মাসে একজন ছাত্রকেও না পড়ানোয় বিবেকের দংশনে পুরো বেতন ফেরত দিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন বিহারের এক সহকারী অধ্যাপক। তিনি জানিয়েছিলেন, গত ৩৩ মাস ধরে তিনি একজন পড়ুয়াকেও পড়াননি। সেই কারণে এই এতদিন ধরে তাঁর অ্যাকাউন্টে বেতন বাবদ জমা পড়া ২৪ লক্ষ টাকা তিনি সম্পূর্ণটাই ফিরিয়ে দিতে চান। আর নিমিষের মধ্যেই তাঁর এই উদারতার ভাইরাল হয়ে যায়। বিহার তো বটেই, গোটা দেশে শুরু হয়ে যায় হইচই।
তারপরই কাহিনী মে টুইস্ট। সেই সহকারী অধ্যাপক এখন ৩৬০ ডিগ্রি পাল্টি খেয়ে জানিয়েছেন, বেশি আবেগ প্রবণ হয়েই তিনি ওই সব ভুল করে বলে ফেলেছিলেন। শিক্ষা পর্ষদের যা নিয়ম রয়েছে, সেই নিয়ম বাকিদের মতো তাঁরও মেনে চলা উচিত। বেতনের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে তিনি যে মন্তব্যে করেছিলেন, তা তিনি প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন।
তাঁর পাল্টি খাওয়ার আগেই আসল সত্যিটা সামনে এসে গিয়েছিল। সেই কারণেই তিনি তাঁর করা মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ৩৩ মাস ক্লাসে কোনও পড়ুয়া না আসায় তিনি কাউকে পড়াতে পারেননি। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, তাঁর এই মন্তব্যটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। জানা গিয়েছে, পড়ুয়ারা প্রতিদিনই ক্লাসে এসেছে। কিন্তু ওই অধ্যাপকই ক্লাস নেননি।
ওই অধ্যাপক যে কলেজে অধ্যাপনা করেন সেই নীতীশ্বর কলেজের বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছিল সেখানকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। তখন পড়ুয়ারাই জানায়, হিন্দি ভাষার ওই সহকারী অধ্যাপক নিজেই ক্লাসে আসেননি। আর বেতনের প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার যে দাবি তিনি করেছেন, সেটাও ঠিক নয়। কারণ, কলেজের তরফ থেকে বেতন বাবদ ওই পরিমাণ টাকা অধ্যাপকের অ্যাকাউন্টে জমাই পড়েনি। এই সত্য প্রকাশ্যে আসতেই বিহারে রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে।