জলের নিচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ! জানুন বিস্তারিত
Connect with us

ভাইরাল খবর

জলের নিচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ! জানুন বিস্তারিত

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শক্তিশালী গ্রীক দেবতা টাইটানের নামেই রাখা হয়েছিল ব্রিটিশ প্রমোদতরী টাইটানিকের নাম। ৭৫ লক্ষ ডলারের বিনিময়ে পাঁচ বছর ধরে বানানো হয়েছিল ২৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজটি। ওজন ছিল ৬০ হাজার টন। ১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল, ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বন্দর থেকে আমেরিকার নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল টাইটানিক। সেটাই ছিল টাইটানিকের প্রথম ও শেষ সমুদ্রযাত্রা। উত্তর আটলান্টিকে ভাসা হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল ভোর রাতে ডুবে গিয়েছিল ‘আরএমএস টাইটানিক’।

টাইটানিক সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা চল্লিশ মিনিট পর, দুর্ঘটনাস্থলে এসেছিল ‘কারপাথিয়া’ নামে একটি জাহাজ। হিমশীতল সমুদ্রের বুকে লাইফবোটে ভেসে বেড়ানো ৭০৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছিল জাহাজটি। অভিশপ্ত সেই রাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৫০০ জন হতভাগ্য যাত্রী।

এই ঘটনার ১০৯ বছর পরও সমুদ্রের নিচে এক শতাব্দীরও বেশি সময় পরে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে তলদেশে। কিন্তু এখন কেন তোলা হয় এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ? গবেষণায় জানা গিয়েছে, জাহাজটি সমুদ্রের নিচে যাওয়ার সময় দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। অন্য সাধারণ জাহাজগুলি যেমন অক্ষত থাকে, এটির অবস্থা তেমন ছিল না। জলের এত গভীরে ও অত্যাধিক ওজন সম্পন্ন হওয়ার কারণে জাহাজটি তোলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। টাইটানিক জাহাজটির ওজন ১ লক্ষ ৪৩ হাজারেরও বেশি। পিং-পং বল দিয়ে ধ্বংসাবশেষ পূরণ করা বা বরফের তলদেশে ভেসে যাওয়ার জন্য আধা মিলিয়ন টন তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করা সহ টাইটানিককে উঠানোর জন্য অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তবে সব চেষ্টাই বিফলে যায়।

Advertisement

প্রত্নত্বত্তবিদদের তথ্য অনুযায়ী জাহাজের অনেক অংশই নষ্ট হয়ে গেছে। সমুদ্রের নিচে থাকা ব্যাকটেরিয়া বাসা বেঁধেছে তাঁর ওপর। ফল স্বরূপ সেই ব্যাকটেরিয়ায়ই জাহাজটিকে ধ্বংস করে দেবে। লাখ লাখ মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে এই জাহাজকে ঘিরে। তাই এই করুন দৃশ্য বাস্তবে এখনও মানুষকে কাঁদায়। তাই সিনেমার পর্দায় না দেখলেও টাইটানিকের গল্প আমাদের মনে এখনও আলোড়ন তোলে।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.