ভাইরাল খবর
১৬ সপ্তাহ করুন সন্তোষী মাতার পুজো, সময়ের মতো ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কথায় বলে বারো মাসে তেরো পার্বণ। বাংলা প্রবাদের এই কথাটি যে কতখানি সত্যি তা আমরা হলফ করে বলতে পারি। তবে হিন্দুমতে বারোমাসে তেরো পার্বণ যে লেগেই থাকে তা বলা বাহুল্য। শুধু তাই নয়, হিন্দুধর্মে মনে করা হয় সপ্তাহের প্রতিটি বারই কোনও না কোনও দেব-দেবীকে উৎসর্গ করেই হয়েছে। তেমনই ‘শুক্রবার’ দিনটিও হিন্দুদের কাছে বিশেষ তাৎপর্য পূর্ণ। কারণ, এই দিনে সংসারের বাধাবিঘ্ন দূর করতে সন্তোষী মাতাকে পুজো দেওয়া হয়।
তবে সন্তোষী মাতার পুজোর ক্ষেত্রে বেশকিছু নিয়মাবলী রয়েছে। নিয়ম মেনে প্রতি শুক্রবার করে ১৬ সপ্তাহ এই দেবীর পুজো করলে সংসারে বইয়ে আসবে সুখ-শান্তি আর সমৃদ্ধির বার্তা। দূর হবে যাবতীয় দুঃখ কষ্ট, বাধাবিপত্তি। তাহলে আর দেরী কেন? সংসারের অচলাবস্থা দূর করতে এবার থেকে প্রতি শুক্রবার পালন করুন সন্তোষী মাতার পুজো ব্রতপাঠের মাধ্যমে।
কথিত আছে সন্তোষ কথাটি থেকে এসেছে সন্তোষী কথাটি। সন্তুষ্টি প্রদানের দেবী হলেন সন্তোষী। অন্যান্য ব্রতকথার মত সন্তোষী মায়ের ব্রতকথা কোনও প্রাচীন শাস্ত্রে পাওয়া যায় না। তাই মনে করা তুলনামূলক পরবর্তী কালে এই ব্রতকথার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তীতে করুন এই কাজগুলি, সমস্ত বাধা যাবে দূর হয়ে
সন্তোষী মায়ের ব্রতকথা:- কথিত আছে, এক সময় এক মহিলা বাস করতেন। যার ওপরে তাঁর শাশুড়ি মা নানা ভাবে অত্যাচার করতেন। শাশু়ডি মায়ের সব রকম অত্যাচার ও খারাপ ব্যবহার মুখ বুজে সহ্য করতেন ওই মহিলা। কারণ তিনি তাঁর স্বামীকে খুবই ভালোবাসতেন। কিছুদিন পরে ওই মহিলার স্বামীকে কর্মসূত্রে অন্যত্র যেতে হয়। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে ওই মহিলার শাশুড়ি পুত্রবধূর ওপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই মহিলা একটি মন্দিরে যান, সেখানে তিনি সন্তোষী মায়ের ব্রতকথার বিষয়ে জানতে পারেন। এরপরই তিনি পরপর ১৬টি শুক্রবার ধরে উপবাস রেখে সন্তোষী মায়ের ব্রত পালনের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম শুক্রবার ব্রত রাখার পরেই তিনি শাশুড়ি মায়ের ব্যবহারে পরিবর্তন টের পান। তাঁর স্বামীও বিদেশ থেকে তাঁকে চিঠি ও টাকা পাঠান।
এইভাবে এক একটা করে ১৬টি শুক্রবার সন্তোষী মায়ের ব্রত পালন করে কাটাতে থাকেন তিনি। তাঁর জীবনেও পরিবর্তন আসতে থাকে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর স্বামীর উপার্জন অনেকটাই বেড়ে যায়। তাঁদের বেশ কিছু টাকা সঞ্চয়ও হয়ে যায়। স্বামী ফিরে আসার পর ১৬টি শুক্রবার সম্পূর্ণ হলে উদ্যাপনের মাধ্যমে ব্রত উদযাপনের আয়োজন করেন ওই মহিলা। কিন্তু তাঁর শাশুড়ি মোটেও চাননি যে তিনি সফল ভাবে সন্তোষী মায়ের ব্রত উদযাপন করতে পারেন। সেই কারণে যে আটটি ছেলেকে তিনি খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করেছিলেন, তাঁদের তিনি টক খাবার খাইয়ে দেন। সন্তোষী মায়ের ব্রত উদযাপন টক খাবার খাওয়ানো একেবারেই বারণ।
আরও পড়ুন: বালিগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে বামেরা, স্বামী ফুয়াদকে টেক্কা দিলেন সায়রা হালিম!
সন্তোষী মায়ের ব্রত সঠিক ভাবে উদযাপন করতে না পারায় ওই মহিলার স্বামীর বড় ক্ষতি হয়ে যায়। কিন্তু এরপর তিনি ব্রত উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেন। এবার কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই নিষ্ঠাভরে ব্রত উদযাপন করতে পারেন তিনি। ওই মহিলার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে আশীর্বাদ করেন সন্তোষী মা। নিজের ভুল বুঝতে পেরে সন্তোষী মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে নেন তাঁর শাশুড়ি মা।