লাইফ স্টাইল
বিশ্বের প্রথম মানব যিনি হার্ট ছাড়া বেঁচে ছিলেন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস: বিশ্বের প্রথম মানুষ যার শরীরে কোন হার্ট ছিল না হার্ট ছাড়াই তিনি বেঁচে ছিলেন। টেক্সটাইল এর বাসিন্দা ছিলেন লুইস। যিনি ২০১১ সালে হার্টের সমস্যা নিয়েই বেশ কিছুদিন আগে থেকে ভুগছিলেন। তাই তিনি ওখানকার নামে একটা হসপিটাল টেক্সাস হার্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন।
লুইস এর অবস্থার এতটাই অবনতি হয়েছিল যে কোন রকমে হার্ট যন্ত্র বা পেসমেকার কাজ করছিল না, তার বডিতে। আর সেই সময় শরীরে ধরা পড়ে এমন এক বিরল রোগ যার নাম এমাইলোডোসিস। এই রোগের কারণে তিনি বাঁচবেন আর মাত্র বারো ঘন্টা বা তারও কম বলে ডক্টর জানিয়েছিলেন। এই রোগে আক্রান্ত হলে পেশেন্টের বডি থেকে এক ধরনের আঠালো তরল নির্গত হয় যা ধীরে ধীরে প্রেসেন্টের শরীরে লিভার, কিডনি ও অন্যান্য মূল্যবান বডি পার্টস গুলোকে নিস্তেজ করে দেয়। আর এর কারণে এই রোগে আক্রান্ত মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রাণ হারিয়ে ফেলে। আর এই বিরল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এখনো অব্দি কোন রকমের রাস্তা বের করা যায়নি।
লুইস এর স্ত্রীর লিন্ডা কোন কিছুর বিনিময়ে স্বামীকে হারাতে চাননি, তাই তিনি টেক্সাস হার্ড ইনস্টিটিউট এর একজন সার্জনকে সবটা খুলে বলেন, এবং কাকুতি মিনতি করলে তিনি বলেন যে লুইসের হার্ট টাকে প্রতিস্থাপন করতে। আর সেই সার্জেন্টের কথা অনুযায়ী লুইস এর হার্টটাকে সরিয়ে সেখানে একটা মেশিন বসানো হয়, যার নাম হচ্ছে কন্টিনওয়াস স্প্লোর। এই মেশিনের কাজ হচ্ছে হার্টের মতোই শরীরের রক্ত চলাচল কন্টিনিউ রাখা।
কিন্তু সেই মেশিনের কোন পালস থাকবে না এবং কোন রকমের হার্ড বিট থাকবে না। লুইস এর বডিতে এই মেশিনটি সাকসেসফুলি বসানোর জন্য ৪৮ ঘণ্টা ধরে তার অপারেশন হয়। মেশিনটি সঠিকভাবে বসানোর পর দেখা যায় যে তার শরীরে মেশিনটি ঠিক ভাবে কাজ করছে। এবং লুইস পুনরায় জীবিত হয়ে ওঠেন সবার সাথে ভালোমতো কথা বলেন এবং হাসাহাসিও করেন। আর তা দেখে তার স্ত্রী লিন্ডা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন এবং ইমোশনাল হয়ে পড়েন। তবে লুইসের হার্টের ব্যবস্থা করা গেল ওই আঠালো তরলের জন্য লুইসের লিভার ও কিডনির কোন গতি করা যায়নি তাই বুকে মেশিন বসানোর পাঁচ সপ্তাহ পর শুধুমাত্র লিভার ও কিডনির জন্য লুইস এ দুনিয়াকে চির বিদায় জানান।