লাইফ স্টাইল
World Sleep Day: অফিসের কাজের চাপে অনিদ্রায় ভুগছেন ৬৫ শতাংশ ভারতীয়, দাবি সমীক্ষায়

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘ঘুম’ মাত্র দুই অক্ষরের এই শব্দটি দেখতে না যত ছোটো তার অর্থ ততটাই গভীর। কারণ প্রতিদিন ঠিকমতো ঘুম না হলে তার ফলাফল যে কি হতে পারে তা একমাত্র সেইসব মানুষেরাই জানেন, যারা অনিদ্রায় ভুগছেন। আর এই অনিদ্রার মতোন সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে প্রতিবছর ‘ঘুম’ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ‘১৮ মার্চ বিশ্ব ঘুম দিবস’ পালন করা হয়ে থাকে।
কিন্তু এই বিশ্ব ঘুম দিবসে আমাদের সবার মনেই একটা বড় প্রশ্ন উঠে আসছে তা হল ‘ঘুম’! সত্যিই কী আমরা প্রত্যেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমায়? ঠিক কতক্ষণ ঘুমানো আমাদের সবার জন্য জরুরি? জানি হয়ত প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা শরীর স্বাস্থ্য এবং ব্রেন পরিস্কার রাখতে ঘুমানো একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু দৈনন্দিন কাজের চাপ বিশেষ করে করোনা পরবর্তী পর্বে ওয়ার্ক ফ্রম অফিস শুরু হওয়াতে এই চাপ বেড়ে গিয়েছে আরও বহুল অংশে। আর এই প্রতিদিনের কাজের চাপের প্রভাব পড়ছে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যে, শরীরের উপর। যারফলে ঘুম না কাজ কোনওটাই সঠিকভাবে হচ্ছে না।
আর এই ‘বিশ্ব ঘুম দিবসে’ ঘুম নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ ‘রেসমেড এশিয়া অ্যান্ড ল্যাটিন আমেরিকা স্লিপ হেলথ’। ব্রাজিল, চিন, জাপান, কোরিয়া ছাড়াও ভারতীয়দের নিয়ে স্লিপ সার্ভে করা হয় অনলাইনে। যেখানে প্রকাশিত হয়েছে ঘুম নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁদের প্রকাশিত সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে, প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের মধ্যে অন্তত ৫৫ শতাংশ মানুষ সপ্তাহে তিনদিন রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না বা তাঁদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। এছাড়াও অফিস চালু হয়ে যাওয়ায় ৬৫ শতাংশ চাকুরীজীবীরা ভুগছেন অনিদ্রায়। তাও আবার ভারতেই।
আরও পড়ুন: হোলি খেলার পরে ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে অবশ্যই মনে রাখুন এই টিপসগুলি
সমীক্ষার রিপোর্ট আরও বলছে যে, রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ায় পরেরদিন কাজের উপর তার কুপ্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন ৮১ শতাংশ ভারতীয়। এরমধ্যে ৫৩ শতাংশ সময়ের তুলনায় আরও বেশিক্ষণ ঘুমাতে চান যা সম্ভব হয় না। যদিও এদের মধ্যে ২১ শতাংশের রাতের ঘুম ভালো হওয়ায় পরেরদিন ফ্রেস অনুভব করেন এবং কাজের প্রতি জোশ আসে।
আরও পড়ুন: প্রেম বড় বালাই! হবু স্ত্রীকে ‘উপহার’ দিতে চাঁদে জমি কিনে দিলেন যুবক
অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ স্লিপিং অ্যানিমিয়াতে ভুগছেন। নিয়মিত রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ায় মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কুপ্রভাব পড়ছে এঁদের। সুতরাং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুম একান্ত জরুরি। এছাড়াও ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া এবং ভালো ঘুমের জন্য শরীরচর্চা, প্রচুর পরিমাণে জলপান করা দরকার। এছাড়াও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্যাজেট থেকে দূরে থাকা ভীষণ জরুরি। তাহলেই ভালো থাকবে শরীর স্বাস্থ্য এবং রাতের ঘুমও হবে দারুণ।